অর্থ তছরুপের মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী নবাব মালিককে (Nawab Malik) গ্রেফতার করেছিল। এর জেরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে নবাবের এখনও ভোগান্তি আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইডি নবাবের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে। গত সপ্তাহে নবাব মালিক বেশ কয়েক কোটি টাকার পারিবারিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। ইডির হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রথমে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন নবাব। সুরাহা না মেলায় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি সূর্যকান্তের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার সমস্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ বিবেচনা করে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন এই এনসিপি নেতা।
শীর্ষ আদালতে নবাবের আইনজীবী কপিল সিবাল প্রশ্ন তোলেন, ২৩ বছর আগের একটি ঘটনায় যেখানে নবাবের প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি তাতে কি করে একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা যায়? এই মামলায় ৪১-এ নোটিস ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা বেআইনি। আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, বর্তমানে বিষয়টি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সেখানে আদালতের হস্তক্ষেপ করার কোনও অর্থ হয় না।
উল্লেখ্য, দুই দশকেরও বেশি সময় আগে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে লেনদেনের অভিযোগ ওঠে নবাব মালিকের বিরুদ্ধে। মুম্বইয়ের কুরলায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগ উঠেছে এই এনসিপি নেতা তথা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ইডি তার চার্জশিটে জানিয়েছে, নবাব অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত। নবাব মালিকের গ্রেফতারি এবং এদিন শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খাওয়ার পর এনসিপি শিবিরের উপর যে চাপ আরও বাড়ল।