Kisan Aandolan: লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লিতে বড় আন্দোলন ‍‘মহাপঞ্চায়েত’

Kisan Aandolan আখের দাম, আখের মূল্য পরিশোধ, বিনামূল্যে গবাদি পশু, জমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুৎ সমস্যার মতো কৃষকদের বিভিন্ন দাবিতে গত ১৩ দিন ধরে উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলায় অবস্থিত সরকারি ইন্টার কলেজের মাঠে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে ছিল ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন

Rakesh Tikait

Kisan Aandolan: আখের দাম, আখের মূল্য পরিশোধ, বিনামূল্যে গবাদি পশু, জমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুৎ সমস্যার মতো কৃষকদের বিভিন্ন দাবিতে গত ১৩ দিন ধরে উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলায় অবস্থিত সরকারি ইন্টার কলেজের মাঠে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে ছিল ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন। এই ধর্নাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকেইউর পক্ষ থেকে একটি মহাপঞ্চায়েতেরও আয়োজন করা হয়। এই মহাপঞ্চায়েতে আশেপাশের জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক কৃষক অংশ নিলেও, ইউনাইটেড কিষাণ মোর্চার কয়েকজন বিশিষ্ট নেতাও এই মহাপঞ্চায়েতে পৌঁছেছিলেন।

আরও পড়ুন: Tiktok Layoffs: ভারতের সমস্ত কর্মচারীকে বরখাস্ত করল টিকটক

সমাজবাদী পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় লোকদলও এই মহাপঞ্চায়েতে তাদের সমর্থন দিয়েছিল, যার কারণে উভয় দলের নেতা-কর্মীরাও এখানে উপস্থিত ছিলেন। মহাপঞ্চায়েতের সময় মঞ্চ থেকে রাকেশ টিকাইত ঘোষণা করেছেন, ২০ মার্চ দিল্লিতে সংসদ ভবনের চারপাশে একটি বড় মহাপঞ্চায়েত আয়োজন করা হবে৷ যার জন্য সমস্ত কৃষকদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এই মহাপঞ্চায়েতের সময় এসএসপি মুজাফফরনগর সঞ্জীব সুমন নিজে মঞ্চ থেকে কৃষকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন এবং তাদের সমস্ত দাবির বিষয়ে আশ্বাস দেন। এরপর মঞ্চ থেকে রাকেশ টিকাইতের ঘোষণায় গত ১৩ দিন ধরে চলমান এই ধর্না শেষ হয়।

আরও পড়ুন: Tripura Election 2023: বিজেপিকে ঠেকাতে কৌশলে সিপিএমের প্রশংসা অভিষেকের

সংবাদমাধ্যমরে সঙ্গে কথা বলার সময় ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের জাতীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত বলেছেন, কর্মকর্তারা বলেছেন যে আমরা সরকারের নির্দেশে এসেছি। তিনি বলেন, বিদ্যুতের মিটার একটি বড় সমস্যা। জোর করে কোনো কৃষকের মিটার বসানো হবে না। যে এটা করাতে চায়, সেটা করে ফেলুন। ১৩ দিন ধরে চলা ধর্মঘট আজ শেষ হয়েছে। কৃষকদের উচিত ২০ মার্চের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে আপনার ট্রাক্টর শক্তিশালী রাখুন এবং তাদের আন্দোলনকে শক্তিশালী রাখা। ২০ তারিখ দিল্লিতে সংসদের কাছে পঞ্চায়েত হবে। জায়গাটা বলে দেওয়া হবে। ২০২৪ সালে সারা দেশে পূর্ণ শক্তির সাথে প্যারেড মার্চ বের করা হবে। ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ নীরব জমি ছিনিয়ে নেওয়ার কর্মসূচি। ঋণ দেখে জমি ছিনিয়ে নেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। এ জন্য সচেতন করা হবে। আমরা সব কৃষককে বলেছি, তারা যেই হোক না কেন, তারা যেন এ ব্যাপারে আওয়াজ তোলে। বিরোধী দলেও লোক আছে। ক্ষমতাসীন দলও আছে।