Badrinath Temple: বদ্রীনাথ যাচ্ছেন? মাঝ পথে বিপদে পড়তে পারেন

মরশুম শুরু। উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রী ও হিমালয় প্রেমিকরা টিকিট কাটছেন হরিদ্বার হয়ে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ (Badrinath Temple), গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী সহ হিমালয়ের অনেক জায়গায় যাওয়ার জন্য।…

মরশুম শুরু। উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রী ও হিমালয় প্রেমিকরা টিকিট কাটছেন হরিদ্বার হয়ে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ (Badrinath Temple), গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী সহ হিমালয়ের অনেক জায়গায় যাওয়ার জন্য। কারোর লক্ষ্য তীর্থ করা, কেউ যাচ্ছেন দুর্গম হিমালয়ের রোমাঞ্চের খোঁজে। এই যাত্রীদের অনেকেরই গন্তব্য বদ্রীনাথ। 

পরিস্থিতি বলছে, যাওয়ার পথে আপনি বিপাকে পড়তে পারেন। এর কারণ স্থানীয় জনগণের বিক্ষোভ। তারা অনির্দিষ্টকাল সড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পিটিআই জানাচ্ছে, বিক্ষোভ বাড়ছেই। এই বিক্ষোভের কেন্দ্র জোশীমঠ। 

   

উত্তরাখণ্ডের অন্যতম পাহাড়ি শহর জোশীমঠ। এই শহর হয়েই বদ্রীনাথ দর্শনে যান লক্ষাধিক দর্শনার্থী। জোশীমঠ বাঁচাও সংগ্রাম সমিতির (জেবিএসএস) দাবি, এনটিপিসির তপোবন-বিষ্ণুগড় হাইডেল প্রকল্প এবং হেলাং-মারওয়াড়ি বাইপাস প্রকল্প বাতিল করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির কাছে একটি চিঠিতে, জেবিএসএস-এর আহ্বায়ক অতুল সাতিও দাবি করেছেন যে ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়া উচিত এবং যথাযথভাবে পুনর্বাসন করা উচিত। ২৭শে এপ্রিলের মধ্যে এই ব্যবস্খা করা না হলে মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।

বিক্ষোভের হুঁশিয়ারির পর থেকে বদ্রীনাথ সহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় যাওয়া সমস্যা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে চাপের মুখে রাজ্য সরকার কতদিন অনড় থাকবে তা নিয়েও চর্চা তুঙ্গে।

উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে বদ্রীনাথ মন্দির শীতের বিরতির পরে ভক্তদের জন্য আবার খুলে দেওয়া হবে। প্রতিবছর এমনই হয়। নির্দিষ্ট সময় পার করে খুলে দেওয়া হয় চারধাম সহ বিভিন্ন তীর্থের পথ। চলতি বছর আগামী ২৫ এপ্রিল খুলছে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ সহ বাকি তীর্থস্থানগুলির দরজা।