চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারে প্রকাশিত হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly elections) ফলাফল। চার রাজ্য গিয়েছে বিজেপির দখলে। ইতিহাস গড়ে পাঞ্জাব দখল করেছে আম আদমি পার্টি। মুছে গিয়েছে কংগ্রেস। এরই মাঝে চমক দিচ্ছে বামেদের ফল। এক দিন আগেও বিজেপি-কংগ্রেস ছাড়া ভারতের জাতীয় দল বলতে একমাত্র সিপিএম। সেই দলের সকল শরিক মিলে এক শতাংশ ভোটও পায়নি চার রাজ্য মিলিয়ে।
উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, গোয়া এবং মনিপুরে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। গোয়া ছাড়া সকল রাজ্যে প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা। সিপিএম ছাড়াও নির্বাচনে লড়াই করে সিপিআই এবং সিপিআইএমএল। উত্তরপূর্বের রাজ্য মনিপুরে কেবলমাত্র সিপিআই প্রার্থী দিয়েছিল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে চার রাজ্য মিলিয়েও বাম দলগুলির মিলিত ভোটের হার এক শতাংশও পার করতে পারেনি। এখনও দক্ষিণের রাজ্য কেরলের ক্ষমতায় রয়েছে বাম। চার বছর আগেও ত্রিপুরার শাসন ক্ষমতা ছিল বামেদের দখলে। ২০১১ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য শাসন করেছে বামফ্রন্ট। ২০০৪ সালে কেন্দ্রে সরকার গঠনে নির্ণায়ক ছিল বামেরা।
সেই মতাদর্শের রাজনৈতিক দলগুলির প্রাপ্ত ভোটের হার তলানিতে এসে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, উত্তরাখণ্ডে বাম দলগুলি মিলিয়ে ০.১০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। যার মধ্যে সিপিআই, সিপিএম এবং সিপিআইএমএল-এর প্রাপ্ত ভোটের হার যথাক্রমে ০.০৪, ০.০৪ এবং ০.০২ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে এই হার যথাক্রমে ০.০৭, ০.০৪ এবং ০.০১ শতাংশ। পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে তা ০.০৫, ০.০৬ এবং ০.০৩ শতাংশ। মণিপুরে সিপিআই ০.০৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার ০.৩৯ শতাংশ।
আরও বড় বিষয় হচ্ছে অনেক আসনে নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে বাম প্রার্থীরা। সার্বিকভাবে রাজ্যের হিসেব দেখলে চার রাজ্যের সবগুলিতেই নোটার প্রাপ্ত ভোট বামেদের থেকে অনেক বেশি। যদিও বাম শিবিরের দাবি, চার রাজ্যেই বামেদের সংগঠন মজবুত নয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতেই নির্বাচনে সামিল হতে হয়েছিল।