ভারতীয় সেনার ‘সুইসাইড ড্রোন’ নাগাস্ত্র-১ কীভাবে এক নিমেশে টার্গেট ধ্বংস করতে পারে জানুন

What is Nagastra 1 : বিলিয়নেয়ার প্রযুক্তি ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক একবার বলেছিলেন যে ভবিষ্যতে, কেবলমাত্র সেই দেশই যুদ্ধে জিতবে যার কাছে সেরা ড্রোন রয়েছে। সম্ভবত…

What is Nagastra 1 : বিলিয়নেয়ার প্রযুক্তি ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক একবার বলেছিলেন যে ভবিষ্যতে, কেবলমাত্র সেই দেশই যুদ্ধে জিতবে যার কাছে সেরা ড্রোন রয়েছে। সম্ভবত এটি এখন ঘটছে বলে মনে হচ্ছে। ‘সুইসাইড ড্রোন’ নামক ‘Nagastra 1’-এর প্রথম ব্যাচ পেয়েছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। এই ড্রোনটির বিশেষত্ব হল এটি সেনাদের জীবন বিপন্ন না করে সহজেই শত্রুদের প্রশিক্ষণ শিবির বা লঞ্চ প্যাডে আক্রমণ করতে পারে।

‘Nagastra-1’ কীভাবে কাজ করে?
‘নাগাস্ত্র-১’-এর কাজের পদ্ধতি সাধারণ ড্রোনের থেকে একেবারেই আলাদা। এর বিশেষ বিষয় হল যে এটি তার লক্ষ্য খুঁজে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্যটিকে ধ্বংস করে দেয়। এই ড্রোনগুলির বিশেষত্ব হল মাঝ-আকাশে উড়ার সময়ও এদের লক্ষ্যবস্তু বা টার্গেট পরিবর্তন করা যায়। এর সুবিধা হল আরও দক্ষতার সঙ্গে টার্গেট ধ্বংস করা যায়।

‘নাগাস্ত্র-১’ একটি জিপিএস সক্ষম ড্রোন। ‘কামিকাজ মোড’ সক্রিয় করা হলে, এটি ২ মিটার নির্ভুলতার সঙ্গে যেকোনো হুমকিকে নিরপেক্ষ করতে পারে।

এটি একটি ফিক্সড-উইং ইলেকট্রিক আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল (UAV), যার ওজন প্রায় ৯ কেজি এবং এর একটি স্বায়ত্তশাসিত মোড রেঞ্জ প্রায় ৩০ কিলোমিটার। এটি এক কিলোগ্রামের ওয়ারহেড নিয়ে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। এর আপগ্রেড সংস্করণ ২.২ কেজি ওয়ারহেড সহ ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।

Advertisements

তবে, লক্ষ্য খুঁজে না পাওয়া গেলে বা মিশন বাতিল হয়ে গেলে এই ড্রোনটিকেও ফেরত ডাকা যেতে পারে। এতে ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্যারাসুট ব্যবস্থা রয়েছে। এই কারণে, একটি ড্রোন একাধিকবার ব্যবহার করা যেতে পারে।

এই ড্রোনগুলি ভারতীয় সংস্থা ইকোনমিক এক্সপ্লোসিভস লিমিটেড (ইইএল) তৈরি করেছে, যা নাগপুর-ভিত্তিক সোলার ইন্ডাস্ট্রিজের একটি সহযোগী সংস্থা। সেনাবাহিনীর তরফে EEL-কে ৪৮০ টি ড্রোনের অর্ডার দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ১২০ টি সরবরাহ করা হয়েছে।