কলকাতায় তাঁর বেড়ে ওঠা। জন্মসূত্রে মাড়োয়ারি হলেও বাংলা বলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন তিনি। তবে এই মুহূর্তে কলকাতায় ‘অতিথি’হিসাবে রয়েছেন প্রাক্তন সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া। গতকাল ভবানীপুরের বালক সংঘ ক্লাবের ১০০ বছর পূর্তিতে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে অংশ নেন অভিষেক ডালমিয়া,শালিনী ডালমিয়া,সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস সহ আরো বিশিষ্ট গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। এদিন ভবানীপুর ক্লাবকে প্রায় ১১ হাজার গাছ উপহার দেওয়ার পাশাপাশি ক্লাবের জন্য বিশেষ অর্থ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বর্তমান আইপিএল গভর্নর কমিটির মেম্বার। এছাড়াও ভবিষ্যতে ভবানীপুর ক্লাবের যে কোন বড় ক্রিকেট বা ফুটবল টুর্নামেন্টে শুরু করার জন্য সবরকম সাহায্য করার কথাও এদিন ক্লাব মিটিংয়ে ঘোষণা করেন তিনি।
বোলিং ছেড়ে ব্যাটিং! কেন ব্যাটের স্পনসর খুঁজছেন বুমরা ?
এবছর ফ্রেব্রুয়ারিতে শতবর্ষে পদার্পন করে ভবানীপুরের বালক সংঘ ক্লাব। প্রাক্তন ক্রিকেটার সন্দীপ পাতিলের হাত ধরেই উদ্বোধন হয় ক্লাবের বিভিন্ন কর্মসূচির। তবে এই মুহূর্তে কর্মসূত্রে বাণিজ্যনগরী মুম্বাইতে থাকলেও কলকাতায় ‘অতিথি’ হয়েই এসেছেন অভিষেক ডালমিয়া। গতকাল ক্লাবে প্রথমে সমস্ত কর্মকতাদের সাথে ক্লাবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ২-৩ ঘন্টার একটি দীর্ঘ মিটিং করেন তিনি। এরপর ক্লাব কর্তৃপক্ষকে ১১ হাজার গাছ উপহার দেন জগমোহন পুত্র। এদিন অবশ্য ক্লাব চত্বরে ১০০ গাছই রোপন করা হয়েছে। বৃক্ষরোপন কর্মসূচি সম্পন্ন হলে একটি ছোট সাংবাদিক সম্মেলন করেন অভিষেক এবং দেবব্রত।
এদিন বৃক্ষরোপন কর্মসূচি এবং ক্লাবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের অভিষেক বলেন, “কলকাতার বাসিন্দা হিসেবে এই মুহূর্তে এই ক্লাবের পরিকল্পনার সাথে যুক্ত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত বোধ করছি। বৃক্ষরোপন খুবই ভালো উদ্যোগ। এছাড়াও রক্তদান শিবির এবং আরো অন্যান্য উদ্যোগগুলিও বেশ ভালো। আশা করি প্রতিটি প্রকল্পই সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে।” এছাড়াও ক্লাবের ভবিষ্যৎ প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এদিন বেশ খোশমেজাজেই উত্তর দিতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি আরও বলেন, “ক্লাবের ভবিষ্যৎ প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘায়িত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনো ফুটবল বা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এখানে আয়োজিত হলে যথাসাধ্য পাশে থাকার চেষ্টা করব।”