ক্ষমা চাইল কেএফসি ও পিৎজা হাট

বিগত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কেএফসি ও পিৎজা হাটকে বয়কট করার প্রবল দাবি উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইল এই…

ক্ষমা চাইল কেএফসি ও পিৎজা হাট

বিগত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কেএফসি ও পিৎজা হাটকে বয়কট করার প্রবল দাবি উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইল এই দুই সংস্থা।

কেএফসি এদিন ট্যুইট করে জানিয়েছে, তারা ভারতকে সম্মান করে, তাই অসম্মানের কোন প্রশ্নই ওঠে না।
প্রশ্ন হল কেএফসি ও পিৎজা হাট কী এমন করল যার জন্য তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হল। প্রতিবছর ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান কাশ্মীর সংহতি দিবস পালন। ওই দিনই কেএফসির একটি পাক শাখা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে, ‘কাশ্মীর কাশ্মীরিদের জন্য’।

একই সঙ্গে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কেএফসি কাশ্মীরিদের উদ্দেশ্যে লেখে, ‘তোমরা কখনও আমাদের ভাবনা ছেড়ে যাওনি’। কেএফসির এই মন্তব্য যে প্রত্যক্ষভাবে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে সমর্থন করে তা বলাই বাহুল্য। নিশ্চিতভাবেই এটা ভারতবিরোধী একটা কথা। কেএফসির এই ট্যুইটের স্ক্রিনশট মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে বির্তকের ঝড় উঠতে দেরি হয়নি।

 

Advertisements

এই বিতর্ক সামাল দিতে কেএফসি পাল্টা ট্যুইট করে জানায়, দেশের বাইরে সংস্থার কিছু শাখা সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পোস্ট করেছে তার জন্য সংস্থা গভীর ভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা ভারতকে সম্মান করি। সমস্ত ভারতীয়দের সেবা করার জন্য সংস্থা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। উল্লেখ্য, কেএফসি ও পিৎজা হাট উভয়ই হল মার্কিন সংস্থা ইয়ামির সহযোগী। একইভাবে পিৎজা হাটের পাক শাখাও পাকিস্তান ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের পক্ষে পোস্ট করে। যথারীতি ওই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে।

প্রবল চাপের মুখে পড়ে পিৎজা হাটকেও বাধ্য হয়ে ক্ষমা চাইতে হয়। তারা জানিয়ে দেয়, সংস্থার পাক শাখা যে মন্তব্য করেছে তার সঙ্গে সংস্থা কখনওই সহমত নয়। বরং সংস্থা ভারতীয়দের পরিষেবা দিতে গর্ববোধ করে।