CPIM: দলীয় সভাতে বিস্ফোরণের খবর পান বিজয়ন, শাহর সাথে জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা

গাজায় ইজরায়েলি হামলার বিপক্ষে CPIM-এর আহ্বানে প্রতিবাদ সভায় দিল্লি এসেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। এই অনুষ্ঠানেই বিজয়ন ভাষনও দেন। তার আগেই তাঁর কাছে চলে এসেছিল…

গাজায় ইজরায়েলি হামলার বিপক্ষে CPIM-এর আহ্বানে প্রতিবাদ সভায় দিল্লি এসেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। এই অনুষ্ঠানেই বিজয়ন ভাষনও দেন। তার আগেই তাঁর কাছে চলে এসেছিল এর্নাকুলামে বিস্ফোরণের সংবাদ। সিপিআইএম সূত্রে খবর, উদ্বিঘ্ন বিজয়ন দ্রুত কেরল ফিরতে অস্থির হয়ে পড়েছিলেন।

সিপিআইএম যুদ্ধ বিরতির পক্ষে রবিবার দিল্লিতে সাংগঠনিক শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে ডেকেছিল। এতেই হাজির হয়েছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য পিনারাই বিজয়ন।

সিপিআইএম সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন লাগাতার তাঁর রাজ্যের শীর্ষ আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তা, গোয়েন্দা বিভাগের কর্তাদের সাথে কথা বলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাথে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন বিজনন।

বিজয়ন দিল্লিতে আসার পরই এর্নাকুলামে বিস্ফোরণ কেরলের বাম সরকার সন্দেহের চোখে দেখছে। দিল্লি থেকেই রাজ্য নেতৃত্বের সাথে কথা বলেন বিজয়ন। প্রশাসনিক শীর্ষ আমলাদের দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দেন।

সিপিআইএম জানিয়েছে, দলের পলিট ব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে কাজ করা ইজরায়েলি বাহিনীর দ্বারা গাজায় গণহত্যামূলক আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রতিবাদে বসেছিলেন। সেখানে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, প্রকাশ কারাত, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য কমিটির সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, বিমান বসু সহ শীর্ষ নেতারা। এই সভায় ইজরায়েল-ফিলিস্তিন বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবকে সমর্থন করা হয়।

রাষ্ট্রসংঘে উত্থাপিত সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি ভারত। সিপিআইএমের অভিযোগ, এতে ইজরায়েল আরও হামলা চালাতে উৎসাহ পাবে। যদিও ফিলিস্তিনি জনগণের গাজা ভূখণ্ডে ভারতের ত্রাণ সাহায্য পাঠানোকে সমর্থন করেছে সিপিআইএম। গত ৭ অক্টোবর গাজার ফিলিস্তিনি সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠি হামাস ইজরায়েলের সুরক্ষা বলয় ভেঙে গণহত্যা সংগঠিত করেছিল। তার পর থেকে প্রত্যাঘাত চালাচ্ছে ইজরায়েল।

ইজরায়েলে আটকে পড়া ভারতীয়দের দ্রুত সরিয়ে আনতে সেদেশের ভারতীয় রাষ্ট্রাদূতের সাথে বিশেষ আলোচনা করেছিলেন বিজনন।