ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) নিয়ে আজকাল পাকিস্তানে তুমুল আলোচনা চলছে। পাকিস্তানে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি ভাইরাল ভিডিও রাজনৈতিক তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এই ভিডিওতে নরেন্দ্র মোদী বলছেন, ‘ভাই ও বোনেরা, আমরা পাকিস্তানের সমস্ত অহংকার দূর করে দিয়েছি। আমরা তাকে বাটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে ঘুরতে বাধ্য করেছি।’ ভিডিওটি শেয়ার করতে গিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ সরকারকে তার ব্যর্থতা আখ্যা দিয়ে আক্রমণ করছেন।
পাকিস্তানের এমপি এবং ইমরান খানের দলের নেতা আজম খান স্বাতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভিডিও টুইট করেছেন। এর সঙ্গে তিনি লিখেছেন- ‘দেখুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী পাকিস্তান নিয়ে কী বলছেন। একটুও সম্মান না থাকলে কিছু যায় আসে না। পাকিস্তানকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় ইমরান খানকে ফিরিয়ে আনা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ভিডিও সম্পর্কে, ভারতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার আবদুল বাসিত তার ভিডিও ব্লগে বলেছেন- ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী তার ভিডিও ক্লিপে বলছেন যে তিনি পাকিস্তানকে এক বাটি দিয়ে দেশে দেশে যেতে বাধ্য করেছেন।
رجیم چینج کے سہولت کارو۔
سنو انڈیا کا مودی پاکستان کے بارے میں کیا کہہ رہا ہے؟ اگر غیرت نام کی کوئ چیز تم میں نہیں تو شرم تو کرو؟ پاکستان کے لوگو: اس لئے اپنے اس ملک کو بچانے کا واحد راستہ عمران خان کے سنگ حقیقی آزادی ہے. pic.twitter.com/yvRIsoTKPf— Senator Azam Khan Swati (@AzamKhanSwatiPk) January 11, 2023
ভিডিও ব্লগে তিনি লিখেছেন- প্রধানমন্ত্রী মোদী বলছেন যে তিনি পাকিস্তানকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। পাকিস্তানকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী কী করেছিলেন তা আলাদা, তবে এর জন্য আমরাই বেশি দায়ী। পাকিস্তানের মানুষ দুঃখিত। যখনই কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে পাকিস্তান অন্য দেশের দিকে তাকাতে থাকে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই ভিডিওটি শেয়ার করে ইমরান খানের দলের নেতা শেহবাজ শরীফ সরকারের সময় পাকিস্তানের দুর্দশা নিয়ে কটাক্ষ করছেন। এদিকে পাকিস্তানের একজন সাংবাদিক নায়লা ইনায়াত এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং এটিকে ২০১৯ সালের বলে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন- ‘পিটিআই-এর লোকেরা সেই ভিডিও শেয়ার করছে যে মোদী শেহবাজ শরিফের সরকার সম্পর্কে বলছেন, কিন্তু এই ভিডিওটি ২০১৯ সালের এবং তখন ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।’ এই ভিডিওটি শেয়ার করার সময় সাংবাদিক ইরশাদ ভাটি লিখেছেন ‘কখন শত্রু ঠাট্টা করে, সম্মান দেয় না, তাহলে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো’।