J&K: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ‘মোদী হায় হায়’ চিৎকারে সরগরম পরিস্থিতি

রাহুল ভাটের মৃত্যুর পর আতঙ্কে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা।বৃহস্পতিবার বিকেলে জম্মু-কাশ্মীরের বুধগাম জেলার চাঁদুরা এলাকায় সরকারী অফিসের ভিতর ঢুকে এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। সেই…

রাহুল ভাটের মৃত্যুর পর আতঙ্কে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা।বৃহস্পতিবার বিকেলে জম্মু-কাশ্মীরের বুধগাম জেলার চাঁদুরা এলাকায় সরকারী অফিসের ভিতর ঢুকে এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তাপ ছড়াল উপত্যকায়। প্রতিবাদে পথে নামল কংগ্রেস ও বিজেপি। প্রতিবাদে নামতে দেখা গেল কাশ্মীরি পণ্ডিতদেরও।

কাশ্মীরি পণ্ডিতরা এদিন মিছিল থেকে বলেন, আমরা এখানে সুরক্ষিত বলে মনে করছি না। আমাদের নিরাপত্তা প্রয়োজন। আমরা যেখানে নিরাপদ আমাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হোক। আমরা যে কোনও জায়গায় যেতে রাজি। আমাদের জন্য কিছু করা হয়নি।
মিছিল থেকে মোদী হায় হায় ধ্বনি দেওয়া হয়।

   

জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দিন বিকেলেই রাজস্ব বিভাগের সরকারী অফিসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। মৃত রাহুল ভাট রাজস্ব বিভাগের কর্মী ছিলেন। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় তাঁকে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।

গত বছর থেকেই একের পর সাধারণ নাগরিক, অন্য রাজ্য থেকে কর্মরত ব্যাক্তি এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গিরা। শুধু অক্টোবর মাসেই পাঁচদিনে ৭ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এদের মধ্যে রয়েছে কাশ্মীরি পণ্ডিত, শিখ এবং দু’জন প্রবাসী হিন্দু। এরপর থেকেই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি রাহুল ভাটের মৃত্যুর পর একাধিক এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই ৩৭০ ধারা বাতিল করে কেন্দ্রিয় সরকার। তারপর থেকেই উপত্যকাজুড়ে বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠনগুলির প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে একাধিক জনকে খতম করেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। একের পর এক কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মৃত্যু ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। মোদী সরকার নিরাপত্তায় ব্যর্থ হয়েছে। একযোগে সরব সমস্ত বিরোধী দলগুলি।