News Desk: কঙ্গনা রানাউত এবং বিতর্ক যেন একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। কঙ্গনা মুখ খোলা মানেই নতুন বিতর্ক তৈরি হওয়া। আর সেই বিতর্কের জেরেই এবার কঙ্গনার (Kangana Ranaut) বিরুদ্ধে দায়ের হল আরও একটি মামলা।
কঙ্গনা ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ফের একটি বিতর্কিত মন্তব্য পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টে তিনি শিখ সম্প্রদায়কে খলিস্তানি (khalsthani) হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কঙ্গনা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় ইন্দিরা গান্ধী খলিস্তানি জঙ্গিদের মশার মতো পিষে মেরেছেন। বিতর্কিত এই মন্তব্যের জন্যই কঙ্গনার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে দায়ের হয়েছে অভিযোগ।
শিরোমনি অকালি দলের নেতা মনজিন্দর সিং সিরসা কঙ্গনার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে দিল্লি শিখ গুরুদ্বার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেই অভিনেত্রী এই মন্তব্য করেছেন। নিজের ইনস্টাগ্রামে কঙ্গনা লিখেছেন, বর্তমানে খলিস্তানিরা সরকারকে অত্যন্ত বিব্রত করে চলেছে। কিন্তু আমাদের একজন মহিলার কথা ভুলে গেলে চলবে না।
দেশের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী এই খলিস্তানি জঙ্গিদের নিজের জুতোর তলায় পিষে মেরে ছিলেন। মশাকে পায়ের তলায় পিষে মারার মতোই ইন্দিরা খলিস্তানি জঙ্গিদের পিষে দিয়েছিলেন। যদিও এর পরিবর্তে তাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছে সেটা ঠিক। কিন্তু তিনি দেশকে ভাগ হয়ে যেতে দেননি। আজও খলিস্তানি জঙ্গিরা ইন্দিরা গান্ধীর নাম শুনলেই ভয়ে কেঁপে ওঠে।
ইন্দিরা গান্ধীর একটি ছবি দিয়ে কঙ্গনা আরও লেখেন, খালিস্তানিদের উত্থান এবং তার বিরুদ্ধে ইন্দিরা যে পদক্ষেপ করেছিলেন সেই ঘটনা খুব দ্রুত সকলের সামনে আসবে। সম্প্রতি এদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর তৈরি ‘এমার্জেন্সি’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। ওই ছবিতে ১৯৮৪ সালের অপারেশন ব্লু স্টারের ঘটনাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিতই কঙ্গনা বিভিন্ন মন্তব্য পোস্ট করে থাকেন। যেগুলি বেশিরভাগই তীব্র বিতর্ক ছড়ায়। কয়েকদিন আগেই এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, কংগ্রেস কখনও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (shuvas chandra) ও ভগৎ সিংকে (bhagat sing) যথাযথ সম্মান দেয়নি। অন্যদিকে গান্ধীকে সম্মান দেওয়া হলেও তাঁর ও আদর্শে কখনও কোনও দেশ স্বাধীন হতে পারে না। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতার (independence) নামে ভিক্ষা পেয়েছিল। দেশ প্রকৃত স্বাধীন হয়েছে ২০১৪ সালে।