Tripura: বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক সংবাদের অভিযোগে কলকাতায় গ্রেফতার সাংবাদিক

পশ্চিমবঙ্গে ধৃত এক অনলাইন সংবাদমাধ্যমের কর্ণধার ও সাংবাদিক। ত্রিপুরাবাসী (Tripura) এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা ও আক্রমণাত্মক সংবাদ…

পশ্চিমবঙ্গে ধৃত এক অনলাইন সংবাদমাধ্যমের কর্ণধার ও সাংবাদিক। ত্রিপুরাবাসী (Tripura) এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা ও আক্রমণাত্মক সংবাদ ছড়ানোর অভিযোগ আছে। গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিকের নাম সৈকত তলাপাত্র। তাকে শুক্রবার ত্রিপুরা পুলিশ গ্রেফতার করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জানিয়েই অ়ভিযান হয়। এমনি জানিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশ।

ধৃত সৈকত তলাপাত্র ত্রিপুরা ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে থাকছিলেন। শুক্রবার তাকে কলকাতার সংলগ্ন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত রোডের পাশে মুরাগাছা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সৈকত তলাপাত্রকে গ্রেফতারের পরই আগরতলার সাংবাদিক মহলে আলোড়ন। রাজনৈতিক বিতর্ক প্রবল। কারণ, সৈকত যে সংবাদমাধ্যমের কর্ণধার সেই ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি’র বিরুদ্ধে ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপি প্রবল ক্ষুব্ধ। ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারা বরাবর সৈকতের গ্রেফতারির দাবি করেছিলেন।

সৈকত আগরতলা থেকে কলকাতায় পালিয়ে এসেছিলেন বলে একাধিকবার তার অনলাইন অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন। তার প্রতিবেদনগুলির সিংহভাগ বিজেপি সরকার বিরোধী। আর বিজেপির অভিযোগ, মিথ্যে সংবাদ বানিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডা.মানিক সাহা, মন্ত্রী রতনলাল নাথ সহ দলটির বরিষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়ানোয় অভিযুক্ত।

চার বছর ধরে চেষ্টার পর তাকে গ্রেফতার করা গেছে বলে জানায় ত্রিপুরা পুলিশ।সৈকতের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরে কলকাতায় যায় ত্রিপুরা পুলিশের অপরাধ শাখা এবং সাইবার সেল। পুলিশের ভয়ে সে রাত থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বাড়িতে থাকত। কিন্তু গতকাল রাতে তাকে ধরা সম্ভব হয়। সৈকত তলাপাত্রকে ত্রিপুরা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেফতার করার পর আগরতলায় আনে।

অভিযোগ, সাংবাদিক সৈকত তলাপাত্র যিনি তার ‘ফেসবুক’ এবং ‘ইউটিউব’-এর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, তার বড় ভাই ব্যবসায়ী রতন সাহা এবং ব্যবসায়ী ছোট ভাই তপন সাহা সহ অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে নোংরা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মানহানি করার জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিভিন্ন ধারায় নথিভুক্ত করা হচ্ছে।