রাজধানী দিল্লির মর্যাদাপূর্ণ ও বিখ্যাত জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU) আবারও বিতর্কে। তবে এবারের বিতর্ক ছাত্রদের সংঘর্ষের সঙ্গে নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে একটি বিতর্কিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে বিবিসির বিতর্কিত ডকুমেন্টারির স্ক্রিনিং নিয়ে জেএনইউ ক্যাম্পাসে তোলপাড় ও হৈচৈ-এর খবর পাওয়া গিয়েছে। একদল ছাত্রের পক্ষ থেকে পাথর ছোড়ার অভিযোগও ওঠে। তবে পাথর ছোড়ার ঘটনা পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সোমবার প্রশাসনের দেওয়া সতর্কতা সত্ত্বেও, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর বিতর্কিত বিবিসি ডকুমেন্টারি স্ক্রিনিং করার চেষ্টা করেছিল ২৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। তথ্য অনুযায়ী, ডকুমেন্টারিটির স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করেছিল জেএনইউ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। যদিও প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। অনুমতি ছাড়া তথ্যচিত্র দেখানোর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ছাত্র ইউনিয়ন কার্যালয়ের বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। তা সত্ত্বেও, ছাত্ররা ডকুমেন্টারিটি দেখানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিল।
এই তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছে বিবিসি। এ নিয়ে ভারত সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে সরকার এটিকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে বিবিসির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যেই এটি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জন্য ডকুমেন্টারিটিতে দায়ী করার চেষ্টা করে। যদিও এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ক্লিন চিট দিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক এই বিষয়ে ব্রিটিশ সম্প্রচারককে আপত্তি জানিয়েছিল।
২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকার উপর এই বিবিসি ডকুমেন্টারিটিও শনিবার, ২১ জানুয়ারি হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হয়েছিল। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) ভারত: দ্য মোদী প্রশ্ন শিরোনামের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিল। এরপরই প্রতিবেদন তলব করেন কর্মকর্তারা। এদিকে, বিতর্কের মধ্যে কেরালার তিনটি রাজনৈতিক দলও ঘোষণা করেছে যে তারা রাজ্যে তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন করবে।