Jharkhand: বিচারপতি হত্যায় অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে সিবিআই, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

প্রতিবেদন : ধানবাদ জেলা আদালতের বিচারক উত্তম আনন্দের হত্যার তদন্ত নিয়ে সিবিআইকে কড়া ভর্ৎসনা করল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। হাইকোর্টের(Jharkhand High court) প্ৰধান বিচারপতি রবিরঞ্জন এবং বিচারপতি…

প্রতিবেদন : ধানবাদ জেলা আদালতের বিচারক উত্তম আনন্দের হত্যার তদন্ত নিয়ে সিবিআইকে কড়া ভর্ৎসনা করল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। হাইকোর্টের(Jharkhand High court) প্ৰধান বিচারপতি রবিরঞ্জন এবং বিচারপতি এসএন প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই(CBI) বিচারক হত্যার ঘটনাটিকে লঘু করে দেখাতে চাইছে।

এই মামলার তদন্ত থেকে হাত গুটিয়ে নিতে চাইছে গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআইয়ের তদন্তের গতি প্রকৃতি দেখে শুনে মনে হচ্ছে, তারা বিচারক হত্যায় অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। তবে আদালত কিন্তু সিবিআইয়ের এ ধরনের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, মোবাইল ছিনতাই করতেই বিচারককে খুন করা হয়েছিল। 

সিবিআই-এর এই সরল যুক্তিকে এদিন পাত্তাই দিতে চাইনি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের পক্ষ থেকে দুই অভিযুক্তের নার্কো পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেঞ্চের পক্ষ থেকে সিবিআইয়ের যুক্তি খণ্ডন করে বলা হয়, মৃত বিচারক আনন্দ ধানবাদ জেলা আদালতের বিচারক ছিলেন সেটা অটো চালক এবং তার সহযোগী জানতেন না এমন নয়। কিন্ত সিবিআই কিভাবে বলছে যে, বিচারপতির মোবাইল চুরি করার জন্যই তাকে ধাক্কা মেরেছিল। আসলে সিবিআই যে কোনও কারণেই হোক না কেন, এই ঘটনার তদন্ত থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কাজেই এই মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা রীতিমত সন্দেহজনক। দেখে শুনে মনে হচ্ছে, এই ঘটনাটির তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই ক্লান্ত বোধ করছে। সে কারণেই তারা এমন সব গালগল্প তৈরি করছে যাতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ধোপে না টেকে।

এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ অভিযুক্তদের অবিলম্বে নার্কো পরীক্ষার নির্দেশ দিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলেছে সিবিআইকে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে একাধিকবার সিবিআই আদালতের ভর্ৎসনার শিকার হয়েছে। একাধিক মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে আদালতকে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দক্ষতাই প্রশ্নের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।