J&K: ডাল লেকে আগুনের ঢেউ, জ্বলে গেল বিখ্যাত হাউস বোট

শ্রীনগর শ্রী-হীন! বিশ্ববিখ্যাত বিশাল ডাল লেকের জলে থাকা হাউস বোটগুলি জ্বলে পুড়ে ছাই। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে কমপক্ষে পাঁচটি হাউস বোট। লেকের ৯…

শ্রীনগর শ্রী-হীন! বিশ্ববিখ্যাত বিশাল ডাল লেকের জলে থাকা হাউস বোটগুলি জ্বলে পুড়ে ছাই। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে কমপক্ষে পাঁচটি হাউস বোট। লেকের ৯ নম্বর ঘাটে পার্ক করা একটি হাউজ বোটে প্রথমে আগুন ধরে যায়, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং পাশের চারটি হাউজ বোটও পুড়ে যায়। আগুনে পাঁচটি নৌকাই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

ডাল লেকের হাউসবোটে আগুন লাগার এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে পাঁচটি নৌকাই পুড়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বোট মালিকরা। অগ্নিকাণ্ডের ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার সময় নৌকায় কেউ ছিল না।শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

   

ডাল লেক তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং সাংস্কৃতিক মূল্যের জন্য পরিচিত। ডাল লেকে পর্যটকরা হাউসবোটের মাধ্যমে ভ্রমণ করেন। আগুন লাগার সময় হ্রদের তীরে অনেক নৌকা দাঁড়িয়ে ছিল। শ্রীনগরের ডাল লেক পর্যটনের দিক থেকে খুবই জনপ্রিয়। আগুন লাগার কারণে পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে যান।

উল্লেখ্য, ডাললেক শুধু তার সৌন্দর্যের জন্যই বিখ্যাত নয়, লেককে কেন্দ্র করে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ঘটে চলা কর্মকাণ্ড এককথায় অতুলনীয়। ডাললেকে নৌকোর ওপর স্থায়ীভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা খুব একটা কম নয়।শিকারায় চেপে দোকানীরা এদের কাছে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করতে আসে। শিকারায় চেপেই খদ্দেরের কাছে পৌঁছে যায় দরজি, রোগীর কাছে হাজির হয় ডাক্তার। সব মিলিয়ে এ এক অভিনব জলনির্ভর জীবনযাত্রা।

শিকারায় চেপে পর্যটকেরা দেখে নিতে পারেন চারচিনার দ্বীপ, ভাসমান উদ্যান, হজরত বাল মসজিদ, শাল এবং কার্পেটের কারখানা। ডাললেকের এক সম্প্রসারিত অংশ নাগীন লেক নামে পরিচিত। এখানকার বিলাসবহুল হাউসবোটগুলোতে থাকার রাজকীয় ব্যবস্থা অনেক তারকা হোটেলকে লজ্জা দেবে।