ISRO: সূর্যে পৌঁছাবে ভারত, শেষ লাফ দেবে Aditya-L1

ISRO তথা গোটা ভারত এই মুহূর্তের জন্যে অপেক্ষা করছিল। অবশেষে চার মাস পর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে চলেছে ভারতের প্রথম সৌরযান Aditya-L1. শনিবার বিকাল ৪ টে…

ISRO তথা গোটা ভারত এই মুহূর্তের জন্যে অপেক্ষা করছিল। অবশেষে চার মাস পর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে চলেছে ভারতের প্রথম সৌরযান Aditya-L1. শনিবার বিকাল ৪ টে নাগাদ ল্যাগরাঞ্জ পয়েন্ট (L1)-এর চূড়ান্ত কক্ষপথ ‘হেলো অরবিটে’ পৌঁছবে Aditya-L1, যা আসলে ল্যাগরাঞ্জ পয়েন্ট L1, L2 এবং L3-কে ঘিরে থাকা পর্যায়ক্রমিক, ত্রিমাত্রিক কক্ষপথ। Aditya-L1 সৌরযানকে চূড়ান্ত কক্ষপথে পৌঁছে দিতে আজই শেষ ধাক্কা দেওয়া হবে ISRO-র তরফে।

ISRO-এর মতে, মহাকাশযান Aditya-L1 পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের ‘ল্যাগরাঞ্জ পয়েন্ট 1 (L1) এর চারপাশে একটি হেলো অরবিটে পৌঁছাবে। ‘L1 পয়েন্ট’ হল পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যে মোট দূরত্বের প্রায় এক শতাংশ। ‘ল্যাগরাঞ্জ পয়েন্ট’ হল সেই অঞ্চল যেখানে পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যকার মাধ্যাকর্ষণ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। হেলো অরবিট হল একটি পর্যায়ক্রমিক, ত্রিমাত্রিক কক্ষপথ L1, L2 বা L3 ‘ল্যাগরাঞ্জ পয়েন্টর’ একটির কাছাকাছি।

   

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ৬ জানুয়ারি বিকেল ৪টে নাগাদ L1 পয়েন্টে পৌঁছবে Aditya-L1. সেখানে ভারতীয় সৌরযানটিকে স্থির করার প্রক্রিয়া চলছে। ওই অবস্থান থেকে সরাসরি সূর্যের উপর নজরদারি চালাতে পারবে Aditya-L1. কোনও রকম বাধা-বিপত্তি আসবে না তার সামনে। অন্য কোনও গ্রহ বা উপগ্রহ এবং তাদের ছায়া নজরদারিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

উল্লেখ্য,ISRO-এর পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (PSLV-C57) ২রা সেপ্টেম্বর শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের (SDSC) দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে Aditya-L1 সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। তিনি বলেছিলেন যে মহাকাশযানটি বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে এবং পৃথিবীর প্রভাব বলয় এড়িয়ে সূর্য-পৃথিবী ‘ল্যাগরাঞ্জ পয়েন্ট 1’ (L1) এর দিকে চলে গেছে। ‘Aditya L1’ সৌর করোনার দূরবর্তী পর্যবেক্ষণের জন্য এবং পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে ‘L1’ (সান-আর্থ ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্ট) এ সৌর বায়ুর প্রকৃত পর্যবেক্ষণ পরিচালনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

এই সূর্য মিশনের মূল উদ্দেশ্য সৌর বায়ুমণ্ডলের গতিশীলতা, সূর্যের বায়ুমণ্ডলের তাপ, সূর্যের পৃষ্ঠে সৌর ভূমিকম্প বা ‘কোরোনাল মাস ইজেকশন’ (সিএমই), সূর্যের জ্বলন্ত ক্রিয়াকলাপ এবং তাদের বৈশিষ্ট্য এবং পৃথিবীর নিকটবর্তী স্থানের আবহাওয়াগত সমস্যাগুলি বোঝা। Aditya L1-এর সাফল্যের সঙ্গে সূর্যের সমস্ত রহস্য জানা যাবে বিশ্ববাসীর কাছে।