জইশের সন্ত্রাস সদর দপ্তর ধ্বংস করল ভারত, জানালেন রাজনাথ সিং

ভারত ২২ সেপ্টেম্বর: ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি ভারতীয় কমিউনিটির সঙ্গে এক সভায় ঘোষণা করেছেন যে, অপারেশন সিঁন্দুরের সময় ভারত জইশ-ই-মোহম্মদের সন্ত্রাসবাদী সদর দপ্তর ধ্বংস…

India’s Strike Hits Jaish HQ, Group Confirms: Defence Minister Rajnath Singh

ভারত ২২ সেপ্টেম্বর: ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি ভারতীয় কমিউনিটির সঙ্গে এক সভায় ঘোষণা করেছেন যে, অপারেশন সিঁন্দুরের সময় ভারত জইশ-ই-মোহম্মদের সন্ত্রাসবাদী সদর দপ্তর ধ্বংস করেছে। এই তথ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার পর আরও নিশ্চিত হলো, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জইশ স্বীকার করেছে যে ভারতীয় সেনা অভিযান তাদের কেন্দ্রীয় ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে এবং সন্ত্রাসী নেতাদের পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, জইশ-ই-মোহম্মদ স্বীকার করেছে যে অপারেশন সিঁন্দুরের সময় তাদের সদর দপ্তর ধ্বংস করা হয়েছে এবং মসুদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন। সিং বলেন, “জইশ স্বীকার করেছে যে, মসুদের পরিবারের সদস্যরা ভারতের বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।” এটি নির্দেশ করছে যে ভারতীয় সেনার কার্যক্রম সফল হয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদীদের গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত পেয়েছে।

   

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চেয়ে ভারতকে অনুরোধ করেছে, যা ভারত গ্রহণ করেছে। তবে তিনি সতর্ক করেছেন যে, এটি শুধুমাত্র একটি “বিরতি” এবং পাকিস্তান যদি ভবিষ্যতে নতুন কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়, ভারতের অভিযান পুনরায় শুরু হতে পারে। সিং বলেন, “ভারত সতর্ক এবং দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। যদি পাকিস্তান আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, আমরা আমাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দ্বিধা করব না।”

মসুদের পরিবারের নিহত হওয়ার বিষয়টি জইশ-ই-মোহম্মদের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে। রাজনাথ সিং বলেন, যে মসুদের পরিবার ‘টুকরো টুকরো’ হয়ে গেছে ভারতীয় হামলায়।” এই তথ্য আন্তর্জাতিক মহলে ভারতীয় অভিযানের বাস্তব প্রভাব তুলে ধরেছে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর ঘাঁটি ধ্বংস করা শুধু আঞ্চলিক সুরক্ষা নয়, বরং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisements

অপারেশন সিঁন্দুরের মাধ্যমে ভারতীয় বিমান বাহিনী ও নৌসেনা সন্ত্রাসীদের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে। রাজনাথ সিংয়ের মতে, এই অভিযান দেশের সুরক্ষা এবং সীমান্ত নিরাপত্তাকে দৃঢ় করেছে। এটি একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে যে, ভারত তার সুরক্ষা এবং সন্ত্রাসবিরোধী নীতি বাস্তবায়নে কোনো সমঝোতায় কমবে না।

স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে এই অভিযানের প্রশংসা এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্ত্রাসী নেতাদের পরিবার লক্ষ্য করে অভিযান চালানো একটি শক্তিশালী কৌশল যা সন্ত্রাসবাদের চক্র ভাঙতে সাহায্য করে। ভারতের পদক্ষেপে পাকিস্তানসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলো সতর্ক হয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার আগে পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছে।

 

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News