Train Fare: ট্রেনের ভাড়ায় প্রত্যেক যাত্রীকে ৫৫ শতাংশ ছাড় : অশ্বিনী বৈষ্ণব

ভারতীয় রেলে ভ্রমণ এখনও সবচেয়ে সস্তা পরিবহন বিকল্পগুলির মধ্যে একটি। আপনি যদি ভারতীয় রেলে ভ্রমণ করেন তবে আপনি প্রতিটি যাত্রায় ৫৫% ছাড়ের (Train Fare) সুবিধা…

ভারতীয় রেলে ভ্রমণ এখনও সবচেয়ে সস্তা পরিবহন বিকল্পগুলির মধ্যে একটি। আপনি যদি ভারতীয় রেলে ভ্রমণ করেন তবে আপনি প্রতিটি যাত্রায় ৫৫% ছাড়ের (Train Fare) সুবিধা পাবেন। তবে আপনি কি জানেন কিভাবেএই বিশাল ডিসকাউন্ট দেওয়া হবে ?

আসলে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ‘বুলেট ট্রেন’-এর কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে আহমেদাবাদে গিয়েছিলেন। সেখানে সাংবাদিকরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, কোভিড-১৯-এর আগে প্রবীণ নাগরিক ও সাংবাদিকদের দেওয়া ভাড়া ছাড় সরকার পুনরায় চালু করবে কি না। তিনি বলেন, ভারতীয় রেল ইতিমধ্যেই প্রত্যেক যাত্রীকে ৫৫ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে।

পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। এরপর ট্রেন চলাচলও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে স্বীকৃত সাংবাদিক ও প্রবীণ নাগরিকদের রেল ভাড়ায় ৫০ শতাংশ ছাড় দিত রেল। ২০২২ সালের জুন মাসে রেলওয়ের কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হয়েছিল, তবে রেলমন্ত্রক এই ছাড়গুলি পুনরায় চালু করেনি। এরপর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে এই ছাড় পুনরায় চালুর দাবি ওঠে। যদিও বিষয়টি সংসদের উভয় কক্ষে উত্থাপিত হয়েছে।

আহমেদাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী বলেন, “ট্রেনে কোনও জায়গায় পৌঁছানোর জন্য যদি ভাড়া ১০০ টাকা হয়, তাহলে ভারতীয় রেল যাত্রীর কাছ থেকে মাত্র ৪৫ টাকা আদায় করছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে ৫৫ টাকা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এর আগে মধ্যপ্রদেশের এক আরটিআই কর্মী রেলওয়ের কাছে প্রবীণ নাগরিকদের উপার্জনের বিবরণ চেয়েছিলেন। সরকার জানিয়েছিল, ২০২২-২৩ সালে প্রায় ১৫ কোটি প্রবীণ নাগরিক রেলে ভ্রমণ করেছেন। এ থেকে রেলের আয় হয়েছে প্রায় ২,২৪২ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় রেল শুধু যাত্রী ভাড়া থেকে আয় করে না। বরং তার আয়ের আরও অনেক উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পণ্য পরিবহন, রেলস্টেশনে বিজ্ঞাপন, ফুড টেন্ডার, রেলওয়ে কারখানায় উৎপাদিত পণ্য রফতানি ইত্যাদি। এ ছাড়া সরকার ট্রেনে এসি কোচ স্থাপন করে, যার ভাড়া স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি। এইভাবে, রেলওয়ে তার ভাড়া থেকে পুনরুদ্ধার এবং ব্যয়ের মধ্যে ব্যবধান কমাতে কাজ করে।