ঘরে বাড়ছে চিন-বিরোধিতা, বিদেশে কোথায় চিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ভারত?

তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত (India)। বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানে আয়োজিত সাংহাই কর্পোরেশনের (Shangai Corporation Organization) সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠকে বসবেন ভারতের…

ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রী

তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত (India)। বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানে আয়োজিত সাংহাই কর্পোরেশনের (Shangai Corporation Organization) সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠকে বসবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S. Jaishankar) এবং চিনের (China) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের আলোচনায় সাম্প্রতিক কালে চিনের সঙ্গে সীমান্ত অনুপ্রবেশের বিষয়টিকে আলোচনার টেবিলে তুলে ধরা হতে পারে। প্রথমে ঠিক ছিল এই বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বাড়ল মোদী-যোগীদের মাথাব্যথা! হাতরস যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী

   

কিন্তু এই মূহুর্তে দেশে চিন বিরোধিতার ঢেউ বইছে তাতে প্রধানমন্ত্রী গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্টর সঙ্গে বৈঠকে বসলে জাতীয় রাজনীতিতে বেকায়দায় পড়তে হতে পারে বিজেপিকে। তাই জয়শঙ্করক দিয়ে সেই ‘ক্ষতে প্রলেপ’ লাগানোর চেষ্টা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। মনে করা হচ্ছে সীমান্ত অনুপ্রবেশ, দ্বিপাক্ষিক বানিজ্য সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা হতে পারে এই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে।

অবশেষে গ্রেফতার আড়িয়াদহে ‘গণপিটুনি’‌র ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং

বিগত কয়েক বছর ধরেই লাদাখ সীমান্তে চিনের সেনা অনুপ্রবেশ নিয়ে মাথাব্যাথা বেড়েছে নয়াদিল্লির। বহুবার কূটনৈতিক দরকষাকষি সত্বেও ভারতের জমি ছেড়ে পিছোতে নারাজ চিনের লাল ফৌজ। সুদূর অরুনাচল প্রদেশকেও নিজেদের এলাকা বলে চিহ্নিত করেছে বেজিং। তা নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে বিস্তর জলঘোলা হয় চিনের। তবুও এক ফোঁটাও বরফ গলার আভাস পাওয়া যায়নি এখনও। এই বৈরিতার আহবে গতবছর জার্মানিক মিউনিখে মুখোমুখি হয়েছিলেন জয়শঙ্কর ও ওয়াং ই। যদিও সেটা ছিল প্রোটোকলের বাইরে এক আলাপ।

রাহুলকে ‘মিথ্যুক’ বলে জবাব সেনার! ৯৮ লাখ ক্ষতিপূরণ শহিদ অগ্নিবীরের পরিবারকে

সম্প্রতি হিমাচলের ধরমশালায় গিয়ে তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন মার্কিন প্রতিনিধি তথা প্রাক্তণ স্পিকার ন্যান্সি পালোসি এবং তাঁর প্রতিনিধিরা। এরপরই চিনের বিরুদ্ধে তিব্বত ইস্যুকে আমেরিকা উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে বেজিং। যারফলে এই মুহূর্তে ভারত-চিন সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। এমন অবস্থায় কাজাখস্তানে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকে কি দাঁড়ায়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে দেশ।