Indian Army : শত্রুপক্ষকে ঝাঁঝরা করতে ভারতের হাতে তিন দেশের মারণ আগ্নেয়াস্ত্র

জোড়া শত্রুর বিরুদ্ধে ভারত (Indian Army)। একদিকে পাকিস্তান অন্যদিকে চীন। তাই সামরিক শক্তিকে আরও বলীয়ান করাই লক্ষ্য ভারত সরকারের। সে কারণে পুরনো রাইফেলের বদলে জওয়ানদের…

Indian Army

জোড়া শত্রুর বিরুদ্ধে ভারত (Indian Army)। একদিকে পাকিস্তান অন্যদিকে চীন। তাই সামরিক শক্তিকে আরও বলীয়ান করাই লক্ষ্য ভারত সরকারের। সে কারণে পুরনো রাইফেলের বদলে জওয়ানদের হাতে ইজরায়েল, রাশিয়া, আমেরিকার অত্যাধুনিক বন্দুক।

ভারতের পদাতিক বাহিনী, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মূলত রাইফেলের ওপর ভরসা করে। জওয়ানরা যে রাইফেল ব্যবহার করতেন সেগুলোর বয়স হয়েছিল। জোড়া শত্রুর বিরুদ্ধে দরকার আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। তাই বিদেশ থেকে আমদানি।

ভারতকে মেশিনগান সরবরাহের অন্যতম প্রধান প্রতিরক্ষা অংশীদার হল ইজরায়েল। ইজরায়েল ও ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ সামরিক অস্ত্র খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ইজরায়েলি ছোট অস্ত্রের একটি প্রধান ক্রেতা হিসেবে ভারতকে গণ্য করা হয়। দুই দেশের অস্ত্র শিল্প আরও মজবুত করতে (আইডব্লিউআই) ২০২০ সালের মার্চ মাসে প্রায় ১৬ হাজার ‘নেগেভ এনজি-৭’ মেশিনগানের জন্য ১১৮ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি হয়েছিল। গত বছর প্রায় ৬ হাজার মেশিনগান সরবরাহ করা হয়েছিল বলে খবর। আইডব্লিউআই দু’বছরের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমস্ত এনজি-৭ সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) এবং নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) মোতায়েন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদাতিক ইউনিটগুলির হাতে এনজি-৭ বন্দুক তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

গত বছর লাদাখের সাংসদ জামইয়াং সেরিং নামগিয়াল ভারতীয় বায়ুসেনার গারুদ কম্যান্ডোদের ছবি টুইট করেছিলেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘নেগেভ লাইট মেশিন গানস, তাভোর-২১ ও একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল সজ্জিত হয়ে গারুদ স্পেশাল ফোর্সের সদস্যদের পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সামনের লোকেশনে মোতায়েন করা হয়েছে।’

এনজি-৭ হচ্ছে নেগেভ এনজি-৫ এর একটি আধুনিক সংস্করণ। যা ৫.৫৬x৪৫ মিমি ন্যাটো ক্যালিবার সহ একটি কম ওজনের মেশিনগান। এনজি-৭ এর ২০ ইঞ্চি ব্যারেল রয়েছে। এবং শক্তিশালী ৭.৬২x৫১ মিমি ন্যাটো কার্তুজ ব্যবহার করতে সক্ষম। এনজি-৭ প্রতি মিনিটে ৬০০ থেকে ৭৫০ রাউন্ড (RPM) এর গুলি বর্ষণে পারদর্শী।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যেকার সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছিল। দু’পক্ষের আলোচনায় একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেলের ব্যাপারে একটি চুক্তি হয়েছিল।

৫,১২৪ কোটি টাকার এই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ভারত-রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে উত্তর প্রদেশে ৫,০০,০০০টি একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল প্রস্তুত করা হবে। 7.62 X 39mm ক্যালিবারের AK-203 রাইফেলের ৫০০ মিটারেরও বেশি পাল্লা এবং প্রতি মিনিটে ৬০০ রাউন্ড গুলি করতে সক্ষম।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও আরও বন্দুক আসছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিটি সামরিক ব্যাটালিয়নে কমপক্ষে দুটি কোম্পানিকে (প্রায় ১০০ জন সৈন্য) সিগ ৭১৬ দেওয়ার কথা ছিল। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ৭২ হাজার ‘সিজি ৭১৬ জি ২ প্যাট্রোল অ্যাসল্ট’ রাইফেলের প্রথম ডেলিভারি পেয়েছিল। ২০২১ সালে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৭২,০০০ নতুন রাইফেল এসেছিল।