ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি কি এখনও সম্ভব? নরম হল ট্রাম্প শিবিরের সুর

নয়াদিল্লি: ভূ-রাজনীতির উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক এখন বেশ অস্বস্তিকর। শুল্কবৃদ্ধি থেকে শুরু করে রাশিয়ার সঙ্গে নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠতা-সবকিছু নিয়েই ওয়াশিংটনের ক্ষোভ স্পষ্ট। তবে…

India-US bilateral trade

নয়াদিল্লি: ভূ-রাজনীতির উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক এখন বেশ অস্বস্তিকর। শুল্কবৃদ্ধি থেকে শুরু করে রাশিয়ার সঙ্গে নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠতা-সবকিছু নিয়েই ওয়াশিংটনের ক্ষোভ স্পষ্ট। তবে এই টানাপোড়েনের মাঝেও আশার আলো দেখালেন ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।

মঙ্গলবার এক শিল্পচক্রের টেকসই উন্নয়ন সম্মেলনে তিনি বলেন, “অনেক কিছু হয়েছে, আরও অনেক কিছু হওয়া বাকি।  আমেরিকার সঙ্গে আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (BTA) নিয়ে কথোপকথনে আছি।”

   

তুলনামূলক নরম সুর

এই বক্তব্য আসে এমন সময়ে, যখন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ভারতের প্রতি তুলনামূলক নরম সুরে মন্তব্য করেছেন। ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। তাদের মূল্যবোধ আমাদের ও চিনের কাছাকাছি, রাশিয়ার নয়। শেষ পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করি ভারত-আমেরিকা সমস্যার সমাধান করবে।” তবে একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ আনেন, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনে তা পুনরায় বিক্রি করছে এবং এর ফলে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে পরোক্ষভাবে সহায়তা দিচ্ছে।

সম্প্রতি চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)-এর শীর্ষ বৈঠকের পর বেসেন্ট মন্তব্য করেন, সংগঠনটি মূলত “অভিনয়কেন্দ্রিক”।

ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা কী বললেন.. India-US bilateral trade

অন্যদিকে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো নতুন করে নয়াদিল্লির সমালোচনায় সরব হয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল। ভারতীয় জনগণকে ভালোবাসি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে মোদী, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা, স্বৈরশাসক পুতিন ও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন।” নাভারোর বক্তব্য, “ভারতকে আমাদের, ইউরোপ ও ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে হবে, রাশিয়ার নয়।”

Advertisements

এর মধ্যেই ২৭ আগস্ট থেকে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নয়াদিল্লি এই পদক্ষেপকে “অন্যায় ও অযৌক্তিক” বলে আখ্যা দিয়েছে। শুল্ক সিদ্ধান্তের পর আমেরিকা তাদের প্রতিনিধিদলের ভারত সফরও স্থগিত করেছে। আগামী ২৫ আগস্ট ষষ্ঠ দফার বাণিজ্য আলোচনার পরিকল্পনা থাকলেও নতুন তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

সব মিলিয়ে সম্পর্কের ভিত্তি এখন চাপের মুখে দাঁড়ালেও, পীযূষ গয়ালের বক্তব্যে স্পষ্ট, বাণিজ্য আলোচনার দরজা এখনও বন্ধ হয়নি। তাই প্রশ্ন রয়ে গেল, ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের এই অচলাবস্থায় নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন কি শেষ পর্যন্ত সমঝোতার পথে পৌঁছাতে পারবে?

Bharat: As geopolitical tensions rise, India’s Commerce Minister Piyush Goyal confirms bilateral trade talks with the US, despite growing friction over tariffs and India’s ties with Russia. Learn about the diverging views from US officials and their impact on this critical democratic alliance.