India China Border: চিনকে রুখতে নতুন কৌশল, সীমানায় আরও ১০ হাজার সেনা মোতায়েন ভারতের

চিনকে ঠেকাতে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে ভারত। চিনের সঙ্গে বারবার সংঘাতের আবহে সীমান্তকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন কৌশল নিয়েছে ভারত। ভারত-চিন (India China Border)…

চিনকে ঠেকাতে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে ভারত। চিনের সঙ্গে বারবার সংঘাতের আবহে সীমান্তকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন কৌশল নিয়েছে ভারত। ভারত-চিন (India China Border) সীমান্তের পশ্চিম সীমান্তে ১০,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ড থেকে হিমাচল প্রদেশ পর্যন্ত চিন সীমান্তে এই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ভারত-চিন সীমান্তের এই সেক্টরে ইতিমধ্যেই ৯ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।

৫৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তকে আরও সুরক্ষিত করবে ভারতীয় সেনারা। গত দশকে এই অঞ্চলে বিশাল অবকাঠামো বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন দেখা গেছে। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠনের পর এই এলাকায় পর্যটনেরও প্রসার ঘটেছে। ২০২০ সালে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়। ভারতীয় সেনারাও চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছিল, কিন্তু চিন তার সেনাদের মৃতের সংখ্যা জানায়নি। এই ঘটনার পর ২০২১ সালে ভারত চিনের সঙ্গে তার সীমান্তে টহল দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করে।

   

এই ঘটনার পর থেকে ভারত ও চিন সীমান্ত এলাকায় সামরিক সম্পর্কিত অবকাঠামো বাড়িয়েছে এবং তাদের সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান মোতায়েন করেছে, পাশাপাশি আরও সেনা মোতায়েন করেছে। প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরামনে বলেন, “২০২০ সালে আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম তার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই আমরা সর্বদা সক্রিয় রয়েছি।”

একই সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, জওয়ানদের মনোবল চাঙ্গা রাখার জন্য তিনি নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। ভারতের দিকে যে কেউ খারাপ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে তার উপযুক্ত জবাব দিতে তারা সক্ষম এবং প্রস্তুত। জাপানে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের লিখিত চুক্তি মেনে চলছে না চিন। তিনি গালওয়ানের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে এর জন্য তাকে দায়ী করা হয়।