১৯৮৬ সালের চেরনোবিলের বিপর্যয়! ১৯৮৬ এর ২৬ শে এপ্রিলে ঘটে ভয়াবহ পারমাণবিক চেরনোবিলের দুর্ঘটনা (Chernobyl disaster)। ঘটনার জেরে প্রাণ হারান ৩১ জন। ৩ লক্ষ ৪০ হাজার জন আক্রান্ত হন। এই পারমাণবিক দুর্ঘটনাকে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় বলে গণ্য করা হয়। সেদিন ৩১ জনের প্রাণ গেলেও বেঁচে যায় একটি ক্ষুদ্র প্রজাতির কৃমি (worms) বা পোকা/কীট। দুর্ঘটনার কারণে যে এলাকা প্রায় ২০,০০০ বছরের জন্য মানুষের জন্য বাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে, ঠিক সেখানেই বেঁচে গিয়েছে এই ওয়ার্ম।
চেরনোবিল পারণামবিক বিপর্যয়ের ৩৮ বছরেরও বেশি সময়ে পরেও এই অঞ্চলে বেঁচে রয়েছে একটি রহস্যময় প্রজাতি। উল্লেখ্য, এই অঞ্চলে এখনও রয়েছে রেডিয়েশন। এই ক্ষুদ্র প্রজাতির কীটটি টিকে আছে এবং তাদের জিনোমটি এই পারমাণবিক ভূতের শহর হিসেবে রয়ে যাওয়া শহরে বসবাস ও উন্নতি লাভের জন্য বিবর্তিত হয়েছে।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গবেষণা থেকে জেনেছেন যে এই মাইক্রোস্কপিক কীটগুলো অত্যন্ত স্থিতিস্থাপক এবং চেরনোবিল থেকে দীর্ঘস্থায়ী বিকিরণের সংস্পর্শে তাদের জিনোমগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেনি। এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে প্রোসিডিংস অফ দ্য ন্যাশানাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস বা পিএনএএস।
সোফিয়া টিনটোরি, NYU-এর জীববিজ্ঞান বিভাগের পোস্টডক্টরাল সহযোগী বলেন, “চেরনোবিল ছিল দুর্বোধ্য মাত্রার একটি ট্র্যাজেডি, কিন্তু স্থানীয় জনগণের উপর বিপর্যয়ের প্রভাব সম্পর্কে আমাদের এখনও ভাল ধারণা নেই। হঠাৎ পরিবেশগত পরিবর্তন কী প্রজাতির জন্য বা প্রজাতির মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের জন্য নির্বাচন করেছে, যা স্বাভাবিকভাবেই আয়নাইজিং রেডিয়েশনের জন্য বেশি প্রতিরোধী?”