বিজেপিতে ঢোকার ঠিক আগে অভিজিত গাঙ্গুলীর (Abhijit Ganguly) কাছে গুরু ছিলেন ‘আদালতের কালো বাঘ’ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সিপিআইএম সাংসদ বিকাশবাবু দেশের অন্যতম সেরা আইনজীবী। উকিলের পেশাদারি পোশাকে অর্থাত কালো ঢোলা গাউন পরলে তিনি আদালতের কালোবাঘ বলে চর্চিত হন। এমনই দুঁদে উকিল বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে গুরু বলে মেনেছিলেন অভিজিত গাঙ্গুলী।
আইনি চাকরি ছেড়ে, বিচারপতির পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে অভিজিত গাঙ্গুলী এখন বিজেপি নেতা। দলের বাধ্য সৈনিক হবেন বলে ঘোষণা করেছেন। রাজনীতিক মহলের কটাক্ষ, অভিজিত গাঙ্গুলী লোকসভা নির্বাচনে যে কোনও একটি সেফ সিট থেকে সাংসদ হতে চান।
বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে তিনি গুরু বদলেছেন বলে কটাক্ষ শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। কে সেই গুরু? অভিজিত গাঙ্গুলীর রাজনৈতিক মন্তব্যগুলি বিশ্লেষন থেকে মনে করা হচ্ছে, সাংসদ হতে মরিয়া চেষ্টা করছেন তিনি। বিজপিতেই আলোচনা তাঁর গুরু এখন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু!
প্রবীণ বামপন্থী নেতা খগেন মুর্মু গত লোকসভা ভোটের আগে হাওয়া বুঝে সিপিআইএম ছেড়ে বিজেপিতে ঢুকে পড়েন। সেই দলেরই টিকিট পেয়ে সাংসদ হন। বিজেপির পালে হাওয়া থাকায় খগেন তরতরিয়ে সংসদে চলে গেছেন। বাম শিবির থেকে রাম শিবিরে যাওয়া বেশকয়েকজন আছেন। তবে খগেন মুর্মু বেশি চর্চিত। খগেনই এখন অভিজিতের গুরু বলে বিজেপি মহলেই চর্চা চলছে।
বিজেপিতে যোগ দিনে অভিজিত গাঙ্গুলী একবার মুখে বলছেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে দল যা বলবে তাই করব। আর একবার বলছেন, ডায়মন্ডবারবারে লক্ষ লক্ষ ভোটে জিতব। এই কেন্দ্রের সাংসদ আঞ্চলিক দল তৃ়নমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার নিশানা করেছেন অভিজিত গাঙ্গুলীর। যদিও দলটির নেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে সরল রাজনীতিক বলেছেন অভিজিত।
জানা যাচ্ছে,অভিজিত গাঙ্গুলীকে দলে নিলেও বহু কর্মী ও নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। অভিজিতবাবু যেভাবে নারদ মামলাকে ষড়যন্ত্র বলে শুভেন্দু অধিকারী (প্রাক্তন তৃণমূল) ও তৃণমূলের নেতাদের ক্লিনচিট দিয়েছেন তাতে ক্ষুব্ধ বিজেপির কর্মীরা।