India-Nepal Rail: সীমান্ত জট কাটিয়ে রেলপথে ফের জুড়ছে ভারত-নেপাল

বছর দুই আগে সীমান্ত নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল ভারত (India) এবং নেপালের (Nepal) মধ্যে। সেই ক্ষত মেরামত করে নতুন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হল দুই…

India-Nepal rail

বছর দুই আগে সীমান্ত নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল ভারত (India) এবং নেপালের (Nepal) মধ্যে। সেই ক্ষত মেরামত করে নতুন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হল দুই পড়শি দেশ। দুই দেশের মধ্যে চালু হতে চলেছে রেল পরিষেবা। ভারতের বিহারের জয়নগর থেকে নেপালের কুর্থা পর্যন্ত রেল পরিষেবা চালু হবে শনিবার থেকে।

পূর্ব মধ্য রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বীরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা ওই পরিষেবার উদ্বোধন করবেন। দুই প্রধানমন্ত্রী শনিবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা উদ্বোধন করবেন।

শুক্রবারেই তিন দিনের সফরে ভারতে এসেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী দেউবা। মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। বিকেলের দিকে বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যালয়ে যান নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা। দেখা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং অন্য নেতৃত্বের সঙ্গে। বিকেলের চা সহযোগে বেশ কিছুক্ষন চলে আড্ডা এবং খোশগল্প। সেই সঙ্গে কূটনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।

ভারত এবং নেপালের মধ্যে সুদীর্ঘ ৩৪.৫ কিলোমিটার রেল পরিষেবা আপাতর চালু হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে বিজলাপুর এবং বারদিবাসের মধ্যে আরও ৬৯ কিলোমিটার রেল পরিষেবা চালু করা হবে। ইস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বীরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন যে ভারত ও নেপালের মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত রেল পরিষেবা চালু করা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উন্নত হবে।

ভারতের বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের জন্য ৭৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। জয়নগর-কুর্থা এবং বিজলপুরা-কুর্থার মধ্যে প্রকল্পের প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বীরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন যে বিজলপুরা এবং বারদিবাসের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের কাজ, ৬৯ কিলোমিটার প্রসারিত পুরোদমে চলছে। খুব শীঘ্রই সেই রেলপথ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ সরকার জয়নগর এবং বিজলাপুরের মধ্যে রেল পরিষেবা চালু কোেছিল। ২০০১ সালে নেপালে ভয়াবহ বন্যা হয়। যার জেরে রেললাইন ডুবে যায় এবং পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। যা ফের চালু হচ্ছে।

ভারত থেকে বহু পর্যটক নেপালে ঘুরতে যান। নেপাল থেকে বহু মানুষ কর্মসূত্রে ভারতে আসেন। অনেক নেপালী নাগরিক চিকিৎসাজনিত কারণেও ভারতে আসেন। দুই ক্ষেত্রেই উপকৃত হবেন বহু মানুষ। নেপালের কুর্থায় এই ট্রেনে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক ভারতীয় নাগরিকদের নিজেদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার দ্বারা জারি করা একটি সচিত্র পরিচয়পত্র, ভারতের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারি করা ভোটার পরিচয়পত্র বা নেপালে ভারতীয় দূতাবাস দ্বারা জারি করা পরিচয়পত্র বহন করতে হবে।