বিশ্বে উদীয়মান শক্তিধর দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। সম্প্রতি এশিয়ান পাওয়ার ইনডেক্স নামক একটি বিখ্যাত সংস্থার রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে জাপানকে পেছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে উঠে এল ভারত। এর আগে রয়েছে শুধুমাত্র প্রথমে আমেরিকা ও দ্বিতীয় চিন। ২০২২ সালে ভারত চতুর্থস্থানে ছিল বলে দাবি করা হয়েছিল ওই সংস্থার তরফেই। আর এখন আরও এক ধাপ উঠে আসায় আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের কূটনৈতিক প্রভাব আরও বাড়ল বলেই মনে করছে কূটনৈতিকমহল।
বিশ্বের ২৭ টি দেশ নিয়ে সম্প্রতি এই সমীক্ষাটি করেছিল এশিয়ান পাওয়ার ইনডেক্স। তারমধ্যে ৩৯.১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থানে উঠেছে ভারত। তবে প্রথম দুটি স্থানে ৮১.৭ পয়েন্ট নিয়ে আমেরিকা ও ৭২.৭ পয়েন্টে রয়েছে প্রতিবেশি চিন। অন্যদিকে জাপানের পর পঞ্চম স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ষষ্ঠস্থান দখল করেছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ রাশিয়া।
প্রতিটি দেশের আটটি বিষয়কে নিয়ে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়ে থাকে। যেমন দেশগুলির অর্থনৈতিক ক্ষমতা ও আর্থিক বৃদ্ধি, সামরিক ক্ষমতা। উৎপাদনশীলতা, সাংস্কৃতির প্রভাব, বিদেশনীতি ও কূটনৈতিক প্রভাব, পারমানবিক ক্ষমতা ও নের্তৃত্ব। এই বিষয়গুলিতে গত দশবছরে ভারতের অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। যারফলে এই উত্থান।
আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে ভারত জাপান ও জার্মানীকে টেক্কা দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে উঠে আসবে ভারত। অতীতে বিভিন্ন রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। তবে বর্তমানে ভারতের ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধির হার বজায় রাখলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই সেই লক্ষ্যপূরণ সম্ভব বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। তবে ভারতের আভ্যন্তরীন আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক জটিলতা দ্রুত কাটিয়ে উঠলে ভারত অচিরেই আরও শক্তিধর দেশ হয়ে উঠবে। এদিকে এই আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্টটি সামনে আসতেই কেন্দ্রের মোদী সরকারের গুনগান গাইছেন বিজেপির নেতারা। নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শী নের্তৃত্বের জন্যই এমনটা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি।