INC: কংগ্রেস ঢুকছে বৃদ্ধতন্ত্রের নতুন জমানায়, ৮০ বছরে সভাপতি ‘নিশ্চিত’ খাড়গে

সর্বভারতীয় কংগ্রেসের (INC) সভাপতি (Congress President) পদে মল্লিকার্জুন খাড়গে ( Mallikarjun Kharge)নিশ্চিত। তবে কংগ্রেসের রীতি মেনে সভাপতি পদের ভোটাভুটি বা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হওয়ার পরই সব…

সর্বভারতীয় কংগ্রেসের (INC) সভাপতি (Congress President) পদে মল্লিকার্জুন খাড়গে ( Mallikarjun Kharge)নিশ্চিত। তবে কংগ্রেসের রীতি মেনে সভাপতি পদের ভোটাভুটি বা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হওয়ার পরই সব জানানো হবে। কংগ্রেস সভাপতির পদে বসার জল্পনা বাড়িয়ে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন খাড়গে।

  • কংগ্রেস সভাপতি পদে খাড়গে বনাম থারুরের লড়াই।
  • অশোক গেহলট রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে অনড়।
  • রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ সচিন পাইলট এযাত্রায় ফের কুর্সি হারা।

বিস্তারিত সংবাদ পড়ুন: 

জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি পদে কে বসবেন তা নিয়ে নাটকের পর নাটক চলছে। সেই নাটকের অন্যতম পর্ব রাজস্থানের কুর্সি নিয়ে টানাটানি। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর অশোক গেহলট কংগ্রেস সভাপতি ও মু়খ্যমন্ত্রী দুটি পদই চান। তাতে সায় নেই কংগ্রেসের। গোঁসা করে তিনি সর্বশেষ সভাপতি পদের ভোট থেকে সরলেন। এর পরই মঞ্চে আবির্ভাব মল্লিকার্জুন খাড়গের। 

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, অশিতীপর খাড়গের সাংসদ পদ ইস্তফা প্রমাণ দিচ্ছে কংগ্রেসে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি কঠোরভাবেই মানা হচ্ছে। এই নিয়ম মানতে রাজি না হওয়ায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বিতর্ক তৈরি করেছিলেন। তিনিই ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি দৌড়ের প্রথমে।

সভাপতি পদে শশী থারুরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে খাড়গের। তিনি মনোনয়ন পেশ করেছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন। ফল ঘোষণা ১৯ অক্টোবর।

গেহলোটের বিদ্রোহ ও গোঁসার কারণে, রাজস্থানে সরকার পতনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কংগ্রেস সভাপতি ও মুখ্যমন্ত্রী পদে একসাথে বসার দাবিতে অনড় ছিলেন গেহলোট। এর জেরে রাহুল গান্ধী ও সচিন পা়ইলটের সঙ্গে প্রবল দ্বন্দ্বে জড়ায় তিনি। পরে চাপের মুখে সোনিয়া গান্ধীর কাছে ক্ষমা চান তিনি।

মল্লিকার্জুনের কংগ্রেস সভাপতি হওয়া নিশ্চিত বলছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে চর্চিত এবারও মু়খ্যমন্ত্রীত্বের কুর্সি পেলেননা সচিন পাইলট। একমাত্র গেহলোট সরলে তিনি দায়িত্ব নিতে পারেন।  রাজস্থানে গত বিধানসভা ভোটে সচিনের ব্যাটিংয়েই জয় পেয়েছে কংগ্রেস। বিরোধী  দল বিজেপি। সিপিআইএম বিধায়করাও রাজ্যে বিরোধী। তবে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে তারা কংগ্রেসের পাশে আছেন।