INC: ভীমরুলের চাকে ঢিল মেরে কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র নিয়ে সরব রাহুল গান্ধী

কংগ্রেসের (INC) পরিবারতন্ত্র নিয়েই সরব রাহুল গান্ধী। রাজস্থানে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের বৈঠক বসেছিল। তার শেষেই দলকে বিশেষ বার্তা দিলেন রাহুল গান্ধী। উদয়পুরের চিন্তন শিবির থেকে…

short-samachar

কংগ্রেসের (INC) পরিবারতন্ত্র নিয়েই সরব রাহুল গান্ধী। রাজস্থানে কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের বৈঠক বসেছিল। তার শেষেই দলকে বিশেষ বার্তা দিলেন রাহুল গান্ধী। উদয়পুরের চিন্তন শিবির থেকে রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সওয়াল করেন।

   

তিনি বলেন, কোনও পরিবারের যে কোনও একজনকেই টিকিট দেওয়া হবে। একই পরিবারের ৫ থেকে ৭ জনকে টিকিট দেওয়া যাবে না। প্রথমে একজন কাজ করলেই ধীরে ধীরে কাজের ভিত্তিতে অপর জনকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে কী হবে কংগ্রেসের পদক্ষেপ তা নিয়ে আলোচনায় বসেছিল কংগ্রেস। সেখানেই দলকে পুন্রায় উজ্জীবিত করার জন্য বিশেষ টোটকা দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।তিনি বলেন, জনসংযোগ আরও বাড়াতে ২ অক্টোবর থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করবে কংগ্রেস। আগামী দিনে জনসংযোগের ওপরেই বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে তাঁরা।

রাহুল গান্ধী বলেন, আমাদের এটা মানতে হবে যে আমাদের জনসংযোগ একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমাদের মানুষের সংযোগ আরও বাড়াতে হবে। আরও মজবুত করে তুলতে হবে। এর জন্য কোনও শর্ট কাট নয়। এর জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হবে।

এদিন দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়ার সময় রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপির সবথেকে বড় অস্ত্র হল জনসংযোগ। বিজেপির কাছে প্রচুর পয়সা রয়েছে। তাঁরা জনসংযোগে পারদর্শী। আমাদেরকে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতে হবে।

প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সংযোজন, কোনও আঞ্চলিক দলের ক্ষমতা নেই কংগ্রেসের মতো লড়াই করার। কারণ, এটা মতাদর্শের লড়াই। বিজেপি একমাত্র কংগ্রেসের বিষয়ে বলে কিন্তু কোনও আঞ্চলিক দলগুলির বিষয়ে বলে না। কারণ, তাঁরা জানে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন। আমাদের দেশের ভবিষ্যতকে রক্ষা করতেই এই লড়াই লড়তে হবে।

বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেন, সমস্ত কেন্দ্রিয় সংস্থাকে ব্যবহার করে ভয় দেখানো হচ্ছে। বিচারব্যবস্থাকে ভুল পথে চালনা করা হচ্ছে। এবিষয়ে নির্বাচন কমিশন এবং সংবাদমাধ্যম দেখেও চুপ হয়ে রয়েছে। আসলে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য পেগাসাসের মতো ভয়ঙ্কর জিনিস ব্যবহার করা হচ্ছে। রাহুল গান্ধী বলেন, আগামী দিনে বেকারত্ব আরও বাড়বে, আরও মুদ্রাস্ফীতি ঘটবে। আগুন জ্বলবে। কিন্তু দেশে সেই আগুন যাতে না লাগে সেই ব্যবস্থা আমাদেরকে করতে হবে।