আশা নেই বৃষ্টির, একাধিক রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করল মৌসম ভবন

বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছেন এবারের গ্রীষ্ম হতে পারে উষ্ণতম। দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই প্রবল গরম চলছে। বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। এরই…

বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছেন এবারের গ্রীষ্ম হতে পারে উষ্ণতম। দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই প্রবল গরম চলছে। বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। এরই মধ্যে দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও ওড়িশায় তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করল মৌসম ভবন। বৃহস্পতিবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী তিনদিন উত্তর-পশ্চিম ভারতের তাপমাত্রা আরও দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।

আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানী আর কে জেনামানি বলেছেন, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই তাপপ্রবাহ চলছে। মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করতে পারে। শুক্রবার নাগাদ রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌছবে। তাপপ্রবাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনার কথা শোনাতে পারেননি মৌসম ভবন। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস দেশে সেভাবে বৃষ্টিও হয়নি। সে কারণেই তাপমাত্রা আরও বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এবারের গ্রীষ্মের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল জম্মু কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশের মত শীতপ্রধান রাজ্যগুলিতেও প্রবল গরম পড়েছে। জম্মুতে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র জল ও বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, দেশের ২৪টি অঞ্চলে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন উত্তর পশ্চিম ভারতে চলতি বছরের মার্চ মাস ছিল ১২২ বছরের মধ্যে উষ্ণতম।

একদিকে যত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদা সামাল দেওয়ার জন্য যে কয়লা প্রয়োজন বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তা নেই। রাজস্থান সরকার ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলিতে চার ঘণ্টা উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই চার ঘণ্টা লোডশেডিং হতে পারে। কয়লার অভাবের কারণেই এই সিদ্ধান্ত। মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতেও কয়লার মজুত তলানিতে নেমে এসেছে।