নিউজ ডেস্ক: বিজেপি তাদের নির্বাচনী প্রচারে হামেশাই গুজরাত (Gujarat) মডেলের (gujrar) কথা বলে থাকে। কিন্তু সেই গুজরাত মডেলের কঙ্কালসার চেহারাটা সামনে এল গ্রাম রক্ষক (village guard) নিয়োগ পরীক্ষায়।
শনিবার গুজরাতের বানসকন্ঠ জেলায় (banaskhanta district) গ্রাম রক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ১৭১টি। ওই শূন্য পদে (vacancy) নিয়োগের জন্য জেলা প্রশাসন ৪ হাজার ৬৪১ জনকে ডেকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষায় হাজির হয় ২০ হাজারেরও বেশি কর্মপ্রার্থী। ঘটনার জেরে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় জেলা পুলিশের সদর দফতরের বাইরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কর্মপ্রার্থীদের দিকে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ। পুলিশের লাঠির আঘাত থেকে বাঁচতে অনেকেই দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। সে সময় বেশ কয়েকজন পদপিষ্ট হয়ে জখম হয়েছেন বলে খবর।
যদিও জেলা পুলিশ সুপার আর কে প্যাটেলের দাবি, পুলিশ কখনওই লাঠি উঁচিয়ে কর্মপ্রার্থীদের দিকে তেড়ে যায়নি। এমনকী, ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ বিশেষ কোনও উদ্যোগও নেয়নি। তিনি বলেন, অনেক চাকরিপ্রার্থী তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। সে কারণেই ভিড় ছিল একটু বেশি। তবে এই ভিড়ের কারণে বিশেষ কোনও সমস্যা হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও কোন অসুবিধা হয়নি।
অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিপুল সংখ্যক কর্মপ্রাপ্তির ভিড়ের চাপে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় জেলা পুলিশের সদর দফতরের সামনে। প্রবল ঠেলাঠেলির কারণে পদপিষ্ট হয়ে অনেকেই জখম হয়েছেন। এছাড়াও করোনাজনিত বিধি মানার কোনও প্রশ্নই ছিল না। বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। আর শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা তো অলীক কল্পনা।
কংগ্রেস বিধায়ক গেনিবেন থাকোরে বলেছেন, রাজ্যে বেকারের সংখ্যা এত বেশি যে সামান্য গ্রাম রক্ষক পদে চাকরি পাওয়ার জন্যই হাজার হাজার যুবক ছুটে এসেছে। পুলিশ প্রশাসনও সঠিকভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে পারেনি। সে কারণেই বিপুল পরিমাণ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে হাজির হয়েছিল। পুলিশ যদি আগে থেকে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিত তবে এই ঘটনা ঘটত না। বিজেপি সরকারের আমলে রাজ্য তথা দেশে কর্মসংস্থানের অবস্থা যে কতটা করুণ এদিনের নিয়োগ পরীক্ষা তারই প্রমাণ।