পঞ্চায়েত পারেনি, শেষ পর্যন্ত ‘গোয়েন্দাগিরি’ করল মোষ! হল চুরির কিনারা

জানলে অদ্ভূত মনে হবে! কিন্তু গল্প নয়, এ কাহিনী সত্য। যে চুরির কিনারা করতে ব্যর্থ পঞ্চায়েত সদস্যরা, গোয়েন্দাগিরি করে সেই কাজই হেলায় করল একটি মোষ।…

how a buffalo solved a problem that a village panchayat could not in uttar pradesh , পঞ্চায়েত পারেনি, শেষপর্যন্ত 'গোয়েন্দাগিরি করল মোষ! হল চুরির কিনারা

জানলে অদ্ভূত মনে হবে! কিন্তু গল্প নয়, এ কাহিনী সত্য। যে চুরির কিনারা করতে ব্যর্থ পঞ্চায়েত সদস্যরা, গোয়েন্দাগিরি করে সেই কাজই হেলায় করল একটি মোষ। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের।

মহেশগঞ্জ থানার অন্তর্গত রায় আসকারানপুর গ্রামের বাসিন্দা নন্দলাল সরোজ। তাঁরই খামারেই ছিল একটি মোষ। দিন কয়েক আগে সেটি নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর পথভ্রষ্ট হয়ে পাশের পুরে হরিকেশ গ্রামে চলে যায়। মোষটি ঠাঁই পায় হনুমান সরোজের খামারে।

   

খামারে নিজের মোষকে না পেয়ে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে নন্দলাল সরোজ। তিন দিন পর খোঁজাখুজির সে জানতে পারে পাশের গ্রামের হনুমান সরোজের বাড়িতে রয়েছে সেটি। তবে, হনুমার সরোজ নন্দলালকে সেই মোষ দিতে রাজি হননি। উপায় না দেখে শেষপর্যন্ত মহেশগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানায় নন্দলাল।

সাবধান, রেলের এই সম্পত্তি হারালেই তুলকালাম, যেকোনও সময় হতে পারে যাত্রীর ব্যাগ পরীক্ষা

অভিযোগ পেয়েই মোষটিকে হনুমানের খামার থেকে নিয়ে এসে থানায় রাখে পুলিশ। কিন্তু কিনারা করা যায়নি ওই মোষ কার। এরপর মোষের মালিক কে তা জানতে উপায় বার করে পুলিশ। মোষটিকে থানার বাইরে খোলা জায়গায় রাখা হয়। এরপর নন্দলাল ও হনুমানকে তাঁদের বাড়ির পথে হেঁটে গিয়ে দাঁড়িয়ে তাকতে বলা হয়। ছেড়ে দেওয়া হয় মোষটিকেও। দেখা যায়, মোষটি নন্দলালকে অনুসরণ করে সেদিকেই যাচ্ছে।

এতেই প্রমাণ হয়ে যায় যে, ওই মোষটি নন্দলাল সরোজেরই। ফলে পুলিশের তরফে তাঁকেই মোষটি দিয়ে দেওয়া হয়। শাস্তি না দিলেও অভিযুক্ত হনুমান সরোজকে তিরস্কৃত করে পুলিশ ও অঞ্চলের বাসিন্দারা।