ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত (Hathras stampede) হয়ে শতাধিক নিহত। এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তর প্রদেশের (Hathras stampede) হাতরাসে। জানা গেছে ভোলে বাবার সতসঙ্গ অনুষ্ঠান এখন মৃত্যুপুরী। এই ভোলে বাবা কোনও দেবতা নন! সে একজন প্রাক্তন আইবি অফিসার। চাকরি ছেড়ে ধর্মগুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এদিন প্রবল গুমোট গরমের মধ্যে ছোট একটি জায়গায় চলছিল ‘ভোলে বাবা’র বচন দান। সেখানেই হুড়োহুড়ি থেকে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটেছে।
কে নারায়ণ হরি বা ভোলে বাবা ?
যে সৎসঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে সেটি পরিচালনা করেছিলেন নারায়ণ হরি, যিনি ভোলে বাবা নামেও পরিচিত, যিনি রাজনীতির সাথে সম্পর্কযুক্ত বলেও চর্চিত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর মঞ্চে দেখা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নেতাকে।
হরি নারায়ণ উত্তরপ্রদেশের ইটা জেলার বাহাদুর নাগরি গ্রামের বাসিন্দা। পড়াশোনা শেষ করার পরে, তিনি দাবি করেছেন যে তিনি আইবি (ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো) তে যোগ দেন। আধ্যাত্মিক জীবনে প্রবেশের পর তিনি তার নাম পরিবর্তন করে নারায়ণ সাকার হরি বা ভোলে বাবা নামে পরিচিত হন।
নারায়ণ সাকার হরি গেরুয়া পোশাক পরেন না। তাকে প্রায়ই সাদা স্যুট, টাই এবং জুতা এবং কখনও কখনও কুর্তা-পাজামাতে দেখা যায়। 1990-এর দশকে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন এবং নিজেকে আধ্যাত্মিকতায় নিমজ্জিত করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, দান বাবদ প্রাপ্ত টাকা তিনি রাখেন না বরং ভক্তদের জন্য ব্যয় করেন।
নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি বা ভোলে বাবা নামেও তিনি পরিচিত। তিনি দাবি করেন, ২৬ বছর আগে ধর্মীয় বক্তৃতা দিতে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং দিল্লি সহ ভারত জুড়ে ভোলে বাবার লক্ষ লক্ষ অনুসারী রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য, ইন্টারনেটের যুগে তিনি অন্যান্য ধর্মগুরুদের থেকে ভিন্ন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকেন। ভোলে বাবার কোনও প্ল্যাটফর্মে কোনও অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট নেই।