AFSPA: সরছে বিতর্কিত ‘আফস্পা’, উত্তর পূর্ব ভারতে উচ্ছাস

নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিং গ্রামে জঙ্গি সন্দেহে শ্রমিকদের ‘গণহত্যা’য় জড়িত অসম রা়ইফেলস। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (AFSPA) প্রত্যাহারের আন্দোলন তীব্র হয়। চাপের…

Govt to reduce disturbed areas under AFSPA in Nagaland, Assam, Manipur

নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিং গ্রামে জঙ্গি সন্দেহে শ্রমিকদের ‘গণহত্যা’য় জড়িত অসম রা়ইফেলস। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (AFSPA) প্রত্যাহারের আন্দোলন তীব্র হয়। চাপের মুখে কেন্দ্র সরকার আফস্পা প্রত্যাহার করার পথে।

এবার দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। সীমান্ত লাগোয়া উত্তর-পূর্ব ভারতের তিন রাজ্য থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে AFPSA আইন। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এবং উত্তর-পূর্বের মানুষদের অভিনন্দন জানিয়েছেন শাহ।

অমিত শাহ ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। কয়েক দশক পরে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। উত্তর পূর্বের ওই সকল এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এবং উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অমিত শাহ আরও লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর অটল প্রতিশ্রুতি, আমাদের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, যেটি কয়েক দশক ধরে অবহেলিত ছিল এখন শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অভূতপূর্ব উন্নয়নের একটি নতুন যুগের সাক্ষী হচ্ছে। আমি এই গুরুত্বপূর্ণ মহূর্তে উত্তর-পূর্বের জনগণকে অভিনন্দন জানাই।”

AFPSA হচ্ছে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন। ১৯৫৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এই আইন পাস হয়।এটির মাত্র ছয়টি ধারা ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে অশান্ত এলাকায় আইন প্রয়োগের অনুমোদন দেয়।

উত্তর-পূর্বের ৭ রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়, অসম ও ত্রিপুরার বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমন করতে আ়ফস্পা তৈরি হয়। নাগাল্যান্ড, অসম এবং মনিপুরে আইন বলবৎ আ়ছে। গত শতকের আশির দশকে পঞ্জাবে খলিস্তান আন্দোলন এবং পরে ৯০ দশকে জম্মু ও কাশ্মীরে এই আইন প্রয়োগ করা হয়। সেখানেও এই আইন বলবৎ রয়েছে।

এই আইন অনুযায়ী, সেনাবাহিনী যে কোন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গুলি করতে পারবে। বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করতে পারবে। বিনা ওয়ারেন্টে যে কোন জায়গায়, যে কারও বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পারবে। কোথাও জঙ্গিদের ঘাঁটি রয়েছে বলে সন্দেহ হলে, তা নির্দ্বিধায় উড়িয়ে দিতে পারবে। রাস্তায় কোনও যানবাহনের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করলে, তা থামিয়ে তৎক্ষণাৎ তল্লাশি চালানো যাবে। এবং সর্বোপরি এই আইনানুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সেনা আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত বা আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না।