Manipur: সরকারি রিপোর্টে ‘কেউ মরেনি’, বিজেপি শাসিত মণিপুরে ‘ছড়িয়ে আছে মৃতদেহ’

পরপর চার্চ ভেঙে দেওয়া ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে উপজাতিদের সরানোর প্রক্রিয়া থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি (Manipur) মণিপুরে। জ্বলন্ত এই রাজ্যের সরকারি তথ্যে কারোর মৃত্যুর খবর নেই।

amit sha. monipur reaction

পরপর চার্চ ভেঙে দেওয়া ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে উপজাতিদের সরানোর প্রক্রিয়া থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি (Manipur) মণিপুরে। জ্বলন্ত এই রাজ্যের সরকারি তথ্যে কারোর মৃত্যুর খবর নেই। তবে স্থানীয় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্র ‘Ukhrul Times’ দাবি কমপক্ষে ৩০ জন নিহত। সংঘর্ষ কবলিত এলাকায় যেখানে সেখানে পড়ে আছে দেহ।

PTI জানাচ্ছে সংঘর্ষ থামাতে নেমেছে সেনা। দাবি করা হয়েছে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে।

India Today NE জানাচ্ছে, বিক্ষোভে বেশ কয়েকজনের প্রাণ গেছে, যদিও রাজ্য সরকার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি৷ মণিপুরের পরিস্থিতি ভয়াবহ, এবং শান্তি ও শান্তির প্রয়োজন জরুরি

উপজাতি বনাম সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়ানোর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে এমনই অভিযোগ বিজেপি পরিচালিত মণিপুর সরকারের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই জনগোষ্ঠিকে উপজাতি তালিকাভুক্ত করে অন্যান্য উপজাতি গোষ্ঠির বাসিন্দাদের উপর সামাজিক চাপ ও বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। আরও অভিযোগ,বিভেদ ছড়ানোর জন্য খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী উপজাতিদের একটার পর একটা চার্চ ভাঙা হয়েছে বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে।

মণিপুরের পরিস্থিতি কেমন? ‘The Wire’ জানাচ্ছে, যদিও মণিপুর সরকার রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ৩ মে রাত থেকে অগ্নিসংযোগ এবং সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে এখনও (শুক্রবার পর্যন্ত) কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি তবে স্থানীয় সংবাদপত্র, প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভুক্তভোগী পরিবারের উপর ভিত্তি করে কিছু সংখ্যা নিয়ে এসেছে। নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩০ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইম্ফলের সংবাদপত্র ‘Ukhrul Times’ এর দাবি, নিহত ৩১ জন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (RIMS)) ইম্ফল মর্গে নিহতের সংখ্যা ১৮-তে পৌঁছেছে। জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (JNIMS) মৃতদেহ আনা হয়েছে। শুক্রবার এখানে রাখা নিহতের সংখ্যা ১৩-তে উঠেছে। তবে মৃতদেহগুলি শনাক্তকরণ করা হয়নি। এই প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়, মণিপুরের অন্যান্য অংশে কুকি উপজাতি এবং মেইতেই/মিতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষের ফলে নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সরকারি রিপোর্টে শান্তি নামছে বলা হলেও ‘India Today NE’ জানাচ্ছে মণিপুরে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গেছে, আধাসামরিক বাহিনীর ১৪টি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে এবং আরও বাহিনী আসছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখা গিয়েছে, গত ৩ মে ATSUM সংহতি মিছিলের পরে ৪ মে গির্জা, স্কুল, বাড়ি, যানবাহন এবং বেশ কিছু সম্পত্তি বিক্ষোভের আগুনে পুড়েছিল। এর থেকে মণিপুর জুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি শিশু নিবাসও হিংস্র জনতার হাত থেকে রেহাই পায়নি। চিলড্রেন হোমের সেক্রেটারি প্রমোদিনী বলেন, বিক্ষোভকারীরা কাছাকাছি গির্জা পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের চিলড্রেন হোম, যেখানে ১৯ জন শিশু আশ্রয় নিয়েছে সেখানেও আগুন লেগেছে।