Manipur: জঙ্গি হানায় মারাত্মক পরিস্থিতি মোরে শহরের, কপ্টারে বাহিনী নামাচ্ছে কেন্দ্র

জঙ্গি হানায়  মণিপুরের (Manipur) মোরে শহরের পরিস্থিতি ভয়াবহ। মায়ানমারের টামু শহরের লাগোয়া মোরেতে চলছে কমান্ডো ও কুকি জঙ্গিদের বন্দুকযুদ্ধ। দুই কমান্ডো নিহত। আরও কয়েকজন জখম।…

জঙ্গি হানায়  মণিপুরের (Manipur) মোরে শহরের পরিস্থিতি ভয়াবহ। মায়ানমারের টামু শহরের লাগোয়া মোরেতে চলছে কমান্ডো ও কুকি জঙ্গিদের বন্দুকযুদ্ধ। দুই কমান্ডো নিহত। আরও কয়েকজন জখম। গত ৭২ ঘণ্টায় দেশের এই সীমান্ত শহরটিতে চলছে লড়াই। মোরে শহরকে কব্জা করতে জঙ্গিদের ভয়াবহ হামলা রুখছেন রাজ্য পুলিশ, অসম রাইফেল্স ও বিএসএফের যৌথ বাহিনীর কমান্ডোরা। পরিস্থিতি বুঝে আগেই মণিপুর সরকার কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চেয়েছিল।

মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা, কুলদীপ সিং জানান, বিএসএফের দুটি কোম্পানি, সেনাবাহিনীর দুটি কলাম এবং বিমান সহায়তার জন্য হেলিকপ্টার সহ অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার কথা বলেছেন রাজ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা। আইজি জনাব কবিরকে অপারেশন তদারকি করতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ব্যাপক আধিপত্য বিস্তারের জন্য একটি যৌথ কমান্ড সেন্টার স্থাপনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

বিজেপি শাসিত মণিপুরের অভ্যন্তরীন পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধের মতো বলেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি মণিপুর থেকেই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করেছেন। আর বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জাতিগত সংঘর্ষ থামাতে পারেননি। সেই রেশ ধরে চলছে জঙ্গি হামলা।

মণিপুরের মন্ত্রী গোবিন্দদাস কনথৌজাম বলেছেন কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের জন্য একটি হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে। কনথৌজাম বলেন, দুই নিরাপত্তা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারকে  ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।

রাজ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং নিরীহ নাগরিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে কুকি জঙ্গিদের ক্রমবর্ধমান সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, মোরেতে প্রচুর সংখ্যক কুকি জঙ্গিরা তিনটি স্থানে কমান্ডো পোস্টে আক্রমণ করেছেন। অসম রাইফেলস, এসডিও, সিডিও এবং বিএসএফ মিলিত বাহিনী আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ছিল। হামলার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে কমান্ডো ওয়াংখেম সোমরজিৎ  এবং আইআরবি কর্মী তাখেল্লাম্বাম শৈলেশ্বরের ‘শহিদ’ হন।

PTI জানাচ্ছে বৃহস্পতিবার ১ম মণিপুর রাইফেলস ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পাসে অবস্থিত মণিপুর পুলিশ মেমোরিয়াল পিলারে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় যেখানে নিহত নিরাপত্তা কর্মীদের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান করা হয়।

রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা আরও বলেছেন, বিষ্ণুপুর এলাকায় কুকি জঙ্গিরা নাগা গ্রামের কাছে তিনজন শ্রমিককে আক্রমণ করে। তাদের গুরুতর আহত করে। নিরাপত্তা বাহিনী উচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেছেন মোরে সংঘর্ষের ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। কাংপোকপি এবং থৌবালের মতো প্রতিবেশী এলাকায় অস্ত্রাগার লুট করার চেষ্টা করা হয়।