GHI: নিজের ক্ষুধা সূচক তৈরি করবে ভারত: দিলীপ ঘোষ

ইউরোপের তরফ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার ইনডেক্স(GHI) ২০২২। বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২২ অনুযায়ী ১২১ টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১০৭ তম স্থানে। গত বছরের…

dilip ghosh

ইউরোপের তরফ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার ইনডেক্স(GHI) ২০২২। বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২২ অনুযায়ী ১২১ টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১০৭ তম স্থানে। গত বছরের তুলনায় আরও ৬ টি‌ স্থান পিছিয়ে গিয়েছে ভারত। তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই যখন সরকারের দিকে একের পর এক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সব প্রশ্ন ও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে, এই তথ্য ভুল বলে দাবি করেছে কেন্দ্র সরকার। এ প্রসঙ্গে সরব হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদের কথায়, বিশ্বের মধ্যে হাহাকার চলছে। ভারতের লোক খেয়ে-পরে বেঁচে আছে। একটা লোকও মারা যায়নি।” “নিজের দেশের লোককে যারা খাওয়াতে পারছে না,তারাই সার্টিফিকেট দিচ্ছে। যে সার্টিফিকেটের কোনও দাম নেই” এই বলেও দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, ওই সার্টিফিকেটের কোন দাম নেই, কোন ইনডেক্স কী করছে জানি না, ভারত নিজেই ইনডেক্স তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

তাঁর কথায়, ভারত শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের লোককে খাওয়াচ্ছে, ১০০ দেশকে নিজের দেশে তৈরি ভ্যাকসিন দিয়েছে। আর সেই ভারত গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের এত নিচে কি করে। এই প্রসঙ্গ টেনে এনে,এই ইনডেক্স যে ভুলে ভরা, কেন্দ্রের সুরে সুর মিলিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

একইসঙ্গে এদিন তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তৃণমূলের মুষলপর্ব শুরু হয়ে গেছে। এতদিন ঠিকঠাক চলছিল, টাকা দিল্লি থেকে খুব আসছিল, লুটপাট হচ্ছিল, কোনও সমস্যা ছিল না। এখন কেন্দ্রের তরফে টাকা কমে গেছে। এখন ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে লড়াই চলছে।”
তিনি আরও বলেন, কলকাতাতেও গুলি চলছে, সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছেন, যেখানেই বিজয়া সম্মীলনী হচ্ছে সেখানেই তৃণমূলের মারামারি হচ্ছে। গোটা দলটাই দুর্বৃত্তে ভরে গেছে। তাঁর মতে, দুর্নীতিগ্রস্ত পার্টিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর পার্টি বাঁচাতে গিয়ে বাংলা ডুবে যাচ্ছে।

অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন,” দিল্লিতে অনেককেই তলব করবে। শেষে বাবার কাছে যেতে হবে। এত ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, তার মধ্যে বহু মানুষ যুক্ত আছেন। যাঁরা সরকারে আছেন তার থেকে সবাই সুবিধা নিয়েছেন। ডালপালা ধরে সবাই আস্তে আস্তে যাচ্ছে কান্ডের দিকে।”