Ranjan Daimary: বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বহু মানুষের মৃত্যু, জঙ্গি নেতা রঞ্জন দৈমারির যাবজ্জীবন

পৃথক বোড়োল্যান্ডের (Bodoland) দাবিতে সশস্ত্র পথ নেওয়া ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিভ ফ্রন্ট অফ বোড়োল্যান্ড (NDFB) সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রঞ্জন দৈমারির (Ranjan Daimary) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখল গুয়াহাটি…

পৃথক বোড়োল্যান্ডের (Bodoland) দাবিতে সশস্ত্র পথ নেওয়া ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিভ ফ্রন্ট অফ বোড়োল্যান্ড (NDFB) সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রঞ্জন দৈমারির (Ranjan Daimary) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখল গুয়াহাটি (Guwahati)হাই কোর্ট। ২০০৮ সালে অসমে (Assam) ধারাবাহিক বিস্ফোরণ  ঘটানো হয়েছিল। নাশকতায় মৃত্যু হয় ৮৮ জনের।

NDFB একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন।  অসমের কোকরাঝাড় ও বঙ্গাইগাঁও সহ বোড়ো জাতি অধ্যুষিত এলাকার স্বশাসনের দাবিতে বারবার অসমে গণহত্যা চালিয়েছে এই সংগঠনটি। তেমনই একটি ভয়াবহ ঘটনা ছিল ২০০৮ সালের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ। সেই বছর ৩০ অক্টোবর পরপর বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হয় গুয়াহাটি, কোকরাঝাড়, বরপেটা, বঙ্গাইগাঁও জেলা। এই ধারাবাহিক বিষ্ফোরণের মাথা হিসেবে চিহ্নিত জঙ্গ্ নেতা রঞ্জন দৈমারি।

   

এই নাশকতার পর দৈমারি ভারত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের গোপন ডেরায় ছিল। বিভিন্ন সূত্রের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। অসমের শীর্ষ জঙ্গি নেতাকে ২০১০ সালে ভারতে পুশ ব্যাক করান বাংলাদেশ। পরে বিএসএফ রঞ্জন দৈমারিকে গ্রেফতার করে। NFFB নেতাকে সিবিআই বিশেষ আদালত দৈমারিকে জেলের সাজা দেয়।

২০২০ সালে রঞ্জন দৈমারিকে জেল থেকে ছাড়া হয়। ভারত সরকারের সঙ্গে অসম ভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির শান্তি বৈঠকে অংশ নেয় দৈমারি। তবে মঙ্গলবার গুয়াহাটি হাইকোর্টের নির্দেশে ফের জেলে একদা সশস্ত্র বোড়োল্যান্ড আন্দোলনের ত্রাস রঞ্জন দৈমারি।

NDFB  সশস্ত্র সংগঠনটি নিষিদ্ধ। দৈমারির গ্রেফতারির পর থেকে এই সংগঠনের বর্তমান নেতা আই কে সংবিজিত। নিজে বোড়ো জাতির কেউ না হয়েও সংবিজিত হয়েছে বোড়ো নেতা। গোয়েন্দা বিভাগের দাবি, রঞ্জন দৈমারির সঙ্গে দূরত্ব তৈরির পর সংবিজিত ক্রমে বোড়ো সংগঠনের হাল ধরে নেয়। তার বিরুদ্ধেও একাধিক নাশকতা ও গণহত্যার মামলা আছে। তবে সংবিজিত অধরা।