নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রীয় সয়ং সেবক সংঘের (RSS) কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা নিয়ে উত্তাল কর্ণাটকের রাজ্য রাজনীতি। যার ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজধানীতেও। কর্ণাটকের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খারগের (Priyank Kharge) মন্তব্যের পর বিজেপি-কংগ্রেস তর্জমা তুঙ্গে।
মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) কাছে RSS-কে নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন খারগে। তবে বিজেপির আদর্শক ভিত্তি তথা পথপ্রদর্শক সংগঠন আরএসএস-কে কি আদৌ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যাবে? এই বিষয়ে বড় বয়ান দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সন্তোষ হেগড়ে (Justice Santosh Hegde)।
তিনি বলেন, “যেকোনো সংগঠন তৈরির স্বাধীনতা দেয় ভারতের সংবিধান। তাই রাষ্ট্রীয় সয়ং সেবক সংঘকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে তা সংবিধান বিরোধী হবে।” কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকারের আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করার জল্পনা নিয়ে ধারওয়াড়ে তিনি বলেন, “যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারা কংগ্রেসকে নিষিদ্ধ করবে। এটা কেবল তাদের রাজনৈতিক খেলা।”
এদিন চাকরিপ্রার্থী আন্দোলন কমিটির এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিচারপতি হেগড়ে বলেন, “বিভাগগুলিতে অনেক শূন্যপদ রয়েছে, কিন্তু সরকার সেগুলি পূরণ করছে না। নিয়োগ বা নিয়োগের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল অন্যান্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকারের উচিত প্রতি বছর শূন্যপদের সংখ্যা, নতুন পদ তৈরি বা বাতিল করা এবং পদের সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা।”
RSS-কে নিষিদ্ধ করার চিঠি
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সরকারি স্কুল-কলেজে কার্যক্রম করে শিশুদের ‘মগজ ধোলাই’ করছে বলে রাষ্ট্রীয় সয়ং সেবক সংঘের (RSS) বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে চিঠি দিয়েছিলেন কর্ণাটকের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগের পুত্র প্রিয়াঙ্ক খারগে।শুধু তাই নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ সরকারি দফতর, পাবলিক স্পেসে আরএসএস-এর কার্যক্রম করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আবেদন করেন তিনি।
পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে লেখা চিঠিতে প্রিয়াঙ্ক খারগে উল্লেখ করেন, “কর্ণাটকের সিভিল সার্ভিস (কনডাক্ট) ৫(১) নিয়ম অনুসারে সরকারি কর্মীরা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য, কার্যক্রমের অংশ হতে পারবেন না। কিন্তু সম্প্রতি আরএসএস-এর কার্যক্রমে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অংশগ্রহণ দেখা গিয়েছে।” এর নিরিখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আর্জি জানান খারগে।