লোকসভা ভোটের (Loksabha Vote 2024) আগে ফের একবার জোরদার ধাক্কা খেল কংগ্রেস (Congress)। অবশেষে কংগ্রেসকে বিদায় জানালেন বাগিদুরার কংগ্রেস বিধায়ক মহেন্দ্রজিৎ সিং মালব্য। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন মালব্য।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে জয়পুরে বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক মহেন্দ্রজিৎ সিং মালব্য ( Mahendrajit Singh Malviya) । তাঁর স্ত্রী রেশম মালব্যও বিজেপি অফিসে পৌঁছেছিলেন। সোমবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বিজেপিতে যোগ দেন মহেন্দ্র সিং মালব্য। প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র রাঠোর মালব্যকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে মহেন্দ্র সিং মালব্য যখন বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছন, তখন তাঁকে ঘিরে ধরেছিল সংবাদমাধ্যম।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের ইস্যু আজ দেশের সবচেয়ে বড় ইস্যু। ডবল ইঞ্জিন সরকারের কারণে দেশ ও রাজ্য উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে। গোটা বিশ্ব দেখছে কী কাজ হচ্ছে।’ দলের সদর দফতরে পৌঁছালে মালব্যকে ফুলের মালা বোঝাই করে স্বাগত জানান বিজেপি কর্মীরা।
মহেন্দ্রজিৎ সিং মালব্য বলেন, ‘২২ জানুয়ারি যখন অযোধ্যায় ভগবান শ্রীরামের মন্দিরে রামলালা অভিষিক্ত হচ্ছিল তখন আমিও সেখানে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কংগ্রেস হাইকমান্ড কংগ্রেস নেতাদের অযোধ্যা যেতে বাধা দেয়। এটি আমাকে খুব আঘাত করেছে কারণ আমি এমন একজন ব্যক্তি যিনি সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করে। আমি এমন একজন ব্যক্তি যে দেব-দেবীর উপাসনা করে।’
মহেন্দ্রজিৎ সিং মালব্য বলেন, আদিবাসীদের মধ্যে থেকে তিনি অনেক কাজ করেছেন। তিনি বানেশ্বর ধাম এবং মানগড় ধামের জন্যও কাজ করেছিলেন। তিনি বলেন, ১৯১৩ সালে দেড় হাজার আদিবাসী দেশের স্বাধীনতার জন্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। নরেন্দ্র মোদীই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি মানগড় ধামে এসে সেই শহিদ আদিবাসীদের শ্রদ্ধা জানালেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর আগে দেশের কোনও বড় নেতা মানগড় ধামে আসেননি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মহেন্দ্র সিং মালব্য জানিয়েছিলেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি বিজেপি দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির ব্যানারে তিনি স্কুলের সভাপতি হন। পরে কলেজের সহ-সভাপতি ও সভাপতিও এবিভিপির ব্যানারে পরিণত হন।