শিমলা: অতিবৃষ্টিতে ত্রস্ত পাহাড়, ধ্বসের কবলে রাস্তা, ঘরবাড়ি, দোকানপাট। উত্তরাখণ্ড, কাশ্মীর সহ ধ্বসের কবলে হিমাচলপ্রদেশের মানালি। বিস নদীর জলের তোরে মঙ্গলবার ভেসে গিয়েছে মানালির একটি বহুতল দোকান, একাধিক জায়গায় বন্ধ মানালি-লে হাইওয়ে। বন্যার জলে বেহাঙ অঞ্চলে ভেসে গিয়েছে দ্বিতল বাড়ি, রেস্তোরাঁ, দুটি দোকান। প্রায় হাজারেরও বেশি মানুষ আটকে পড়েছেন বিভিন্ন এলাকায়। কিন্নৌর জেলার কানভি গ্রামে হড়পা বানে খড়কুটোর মত ভেসে যাচ্ছে দোকানপাট।
সোমবার থেকে শুরু হওয়া বর্ষণ, ধ্বস এবং রাস্তা বন্ধের জেরে মঙ্গলবার সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। কাংড়া, চাম্বা এবং লাহাউল জেলায় লাল-সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এছাড়াও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় উনা, হামিরপুর, বিলাস্পুর, সোলান, মান্ডি, কুলু এবং শিমলায় জারি হয়েছে কমলা-সতর্কতা।
গত ২০ জুন থেকে হড়পা বান, ধ্বস, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ-জলসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সমস্যায় জর্জরিত হিমাচল প্রদেশ। চলতি বছর বর্ষা রীতিমত বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাহাড়ের মানুষদের কাছে। রাজ্যের আপতকালিন অপারেশন সেন্টার (SEOC)-এর তথ্য অনুযায়ী গত ২০ জুন থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ ৩৮।
চলতি বর্ষা যেন ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে হিমালয়ের বুকে। জলের তোরে ভেসে যাচ্ছে জনপদ। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় আটকে পড়া বাসিন্দা এবং পর্যটকেরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এদিন জম্মু কাশ্মীরের ডোডা জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টির পর মৃত্যু হয়েছে অন্তত চারজনের। আকস্মিক প্রবল বর্ষণে নেমে এসেছে হড়পা বান, তাতে মুহূর্তে ভেসে গেছে বাড়িঘর ও সড়কপথ। জেলা প্রশাসনের হিসাবে, অন্তত দশটি বাড়ি সম্পূর্ণ কিংবা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।