দুই মাস নিখোঁজ, শ্বশুরবাড়ির সামনে গর্তে খুঁড়ে উদ্ধার বধূর পচাগলা দেহ

দুই মাস আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের শিকোহাবাদের বাসিন্দা তন্নু কুমার। অবশেষে তাঁর নিথর দেহ পাওয়া গেল হরিয়ানার ফারিদাবাদের শ্বশুরবাড়ির সামনের রাস্তার নিচে। মাটি খুঁড়ে উদ্ধার…

Faridabad Dowry Murder Case

দুই মাস আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের শিকোহাবাদের বাসিন্দা তন্নু কুমার। অবশেষে তাঁর নিথর দেহ পাওয়া গেল হরিয়ানার ফারিদাবাদের শ্বশুরবাড়ির সামনের রাস্তার নিচে। মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। অভিযুক্ত, স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির চার সদস্য, যাঁদের বিরুদ্ধে এখন খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

Advertisements

পণের জন্য নির্যাতন

তন্নু দুই বছর আগে বিয়ে করেছিলেন অরুণ সিংকে। বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর শুরু হয় পণের জন্য নির্যাতন, এমনটাই অভিযোগ তন্নুর পরিবারের। অতিষ্ঠ হয়ে একসময় বাপের বাড়ি ফিরে যান তিনি। পরে স্থানীয় পঞ্চায়েতের মধ্যস্থতায় ফের স্বামীর বাড়িতে ফিরলেও পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন হয়নি।

   

গত এপ্রিল মাসে হঠাৎই তন্নুর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকী, তাঁকে মানসিক রোগী বলেও পুলিশে দাবি করা হয়। কিন্তু পরিবারের সন্দেহ জাগে তখনই, যখন তন্নুর বাবা হাকিম তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখেন, বাড়ির সামনে সদ্য মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা একটি গর্ত। তিনি অভিযোগ জানানোর জন্য একাধিকবার থানায় গিয়েছেন, কিন্তু অভিযোগ ছিল পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।

প্রশাসনের উপস্থিতিতে খোঁড়া গর্ত Faridabad Dowry Murder Case

শেষমেশ এক সপ্তাহ আগে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরপর শুক্রবার প্রশাসনের উপস্থিতিতে খোঁড়া হয় সেই গর্ত, আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয় তন্নুর পচাগলা দেহ।

এই ঘটনায় তন্নুর স্বামী অরুণ সিং, শ্বশুর ভূপ সিং, শাশুড়ি সোনিয়া এবং স্বামীর বোন কাজলকে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে ইতিমধ্যে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এপ্রিলের ২৩ তারিখ অরুণ ও তাঁর বাবা একটি যন্ত্র এনে বাড়ির সামনের রাস্তায় প্রায় ১০ ফুট গভীর গর্ত খোঁড়ান। পরদিনই সেটি আবার মাটি দিয়ে ভরাট করে দেন তাঁরা। ঠিক তার পরদিনই তন্নুর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ময়নাতদন্ত

তন্নুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল বাদশাহ খান সিভিল হাসপাতালে। শনিবার তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এখন তদন্তের অপেক্ষায় গোটা পরিবার, তারা চায় এই নৃশংস হত্যার যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।