সুখবর: দীপাবলির ‘উপহারে’ মহার্ঘ ভাতা বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের

নিউজ ডেস্ক: দীপাবলীর আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য এক দফা খুশির খবর। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ বাড়ছে। কেন্দ্রীয়…

Expensive allowances have been increased for central government employees

নিউজ ডেস্ক: দীপাবলীর আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য এক দফা খুশির খবর। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এদিন ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে। অবসর নেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরাও এই বর্ধিত ডিএ পাবেন। এতদিন মূল বেতনের ২৮ শতাংশ ডিএ দেওয়া হত। এবার সেটাই বেড়ে হবে ৩১ শতাংশ।

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে ৪৭ লাখ বর্তমান কর্মী এবং ৬৮ লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কর্মী উপকৃত হবেন। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, উৎসবের মরসুমে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে নিশ্চিতভাবেই কর্মীরা খুশি হবেন। মন্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই দেশে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়েছে। তাই কর্মীদের ডিএ বাড়ানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু করানোজনিত কারণে সরকারের কোষাগারে অর্থের টান রয়েছে। তাই আরও কিছুটা বাড়ানোর দরকার থাকলেও তাঁরা এখনই ৩ শতাংশের বেশি বাড়াতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, করোনাজনিত কারণে গত একবছর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি বন্ধ ছিল। প্রায় এক বছর পরে ডিএ বৃদ্ধি হলেও তা মাত্র ৩ শতাংশ হওয়ায় কেন্দ্রীয় কর্মীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি করোনা সঙ্কট কিছুটা কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ফের চাঙ্গা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জিএসটি ও অন্যান্য রাজস্ব আদায়ও কিছুটা বেড়েছে সেকারণেই উৎসবের মরসুমে কেন্দ্র ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডিএ বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার সকালেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকেই ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকেই এই বর্ধিত ডিএ পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। বাড়তি ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে বছরে অতিরিক্ত ৯৪৪৮.৭০কোটি টাকা খরচ করতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য দেওয়া ডিএর যোগ করলে সেটাই বেড়ে হবে ৩৪৪০০ কোটি টাকা।

তবে অর্থনীতিবিদরা অনেকেই মনে করছেন, কেন্দ্র শুধু সরকারি কর্মীদের হাতে তুলে অর্থ তুলে দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এতে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে না। দেশের প্রতিটি মানুষের হাতেই যাতে নগদ অর্থের যোগান বাড়ে সেজন্য কেন্দ্রকে উদ্যোগী হতে হবে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে যাতে সাধারণ মানুষকে নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়া যায় সে ধরনের পরিকল্পনা নিতে হবে। সম্প্রতি দেশে কাজের বাজারের কিছুটা উন্নতি হলেও যেভাবে পেট্রোল, ডিজেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে তাতে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। সে কারণে এই মুহূর্তে কেন্দ্রের পক্ষে নগদ অর্থের জোগান বাড়ানো অতীব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।