রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (presidential election) শাসক এনডিএ তথা বিজেপি শিবির নীরব। জয়ের সম্ভাবনা দেখে হইচই চলছে বিরোধী শিবিরে। দিল্লিতে আছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁকে প্রবল অপছন্দ করলেও অ-বিজেপি জোটে থাকার সুবাদে সিপিআইএম কনস্টিটিউশন ক্লাবের বৈঠকে থাকছে। শোনা যাচ্ছে বিরোধী শিবিরের তরফে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর (Mamata Banerjee) নাম নিয়ে চলছে আলোচনা।
সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন, বিরোধীদের তরফে একাধিক নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেই নামের তালিকা বেশ দীর্ঘ। তবে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নয়। বিরোধী জোটের প্রার্থীকে পূর্ণ সমর্থন জানাতে রাজি রয়েছে বামদলগুলি। সেই দীর্ঘ তালিকায় অনেকের নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রকাশ্যে আসলেই তার সম্ভাবনা ক্ষীন হতে পারে। তাই এবিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি। তাই গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে নিয়ে আলোচনা অস্বাভাবিক নয়। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
এর আগে ২০১৭ সালে উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে বিরোধীদের তরফে গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে মনোনীত করা হয়েছিল। কিন্তু সেবার ভেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে পরাজিত হন তিনি। সূত্রের খবর, এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দিয়ে বিরোধী শিবিরের নেতারা ফোন করেন। এখনই কিছু জবাব না দিয়ে সময় চেয়ে নিয়েছেন প্রাক্তন রাজ্যপাল। তবে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে বলে মত বিরোধী শিবিরের নেতাদের।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কার হাই কমিশনার পদে নিযুক্ত ছিলেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। এরপর ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল অবধি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন তিনি। গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো প্রাক্তন আমলাকে রাষ্ট্রপতি পদে এনে বিশেষ চমক দিতে চায় বিরোধী শিবির।
যদিও এই তালিকা এখানেই শেষ নয়৷ বুধবার ২২ টি রাজনৈতিক দলকে দিল্লিতে কনস্টিটিউশন ক্লাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে একাধিক নাম নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এরপর চলতি মাসে আরও একটি বৈঠকে চুড়ান্ত নাম ঘোষণা করা হবে