অসুস্থ স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী বৃদ্ধাকে ঠেলায় চড়িয়ে ভোট কেন্দ্রে বৃদ্ধ

লখনউ: সংসদীয় গণতন্ত্রের পীঠস্থান ইংল্যান্ড। কিন্তু বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র রয়েছে ভারতে। সেই গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হতে বড় পদক্ষেপ নিলেন উত্তরপ্রদেশের এক বৃদ্ধ। আজমগড়ের ওই বৃদ্ধের…

লখনউ: সংসদীয় গণতন্ত্রের পীঠস্থান ইংল্যান্ড। কিন্তু বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র রয়েছে ভারতে। সেই গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হতে বড় পদক্ষেপ নিলেন উত্তরপ্রদেশের এক বৃদ্ধ। আজমগড়ের ওই বৃদ্ধের কীর্তি নজর কেড়েছে গোটা দেশের।

উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন চলছে সমগ্র দেশ। যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশে সবথেকে বেশি দফায় হচ্ছে ভোটগ্রহণ। সোমবার ছিল সেই ভোটের অন্তিম দফা। এদিন সকালের দিকে আজমগড়ের এক বুথে দেখা গিয়েছে একটু ভিন্ন ছবি। ভোটের লাইনে ভিড়ের মাঝে ঠেলা নিয়ে হাজির এক বৃদ্ধ। তাঁর ঠেলায় বসে রয়েছেন দুই বৃদ্ধা মহিলা। ওই ঠেলা গাড়িতে বসিয়ে দুই বৃদ্ধাকে বুথে নিয়ে এসেছেন তিনি।

   

দুই বৃদ্ধার মধ্যে একজন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। যার একটি হাড় ভেঙে গিয়েছে। অপর মহিলা তাঁদের পড়শি। তিনি আবার প্রতিবন্ধী। আর সেই বৃদ্ধ নিজেও অসুস্থ। পিঠের ব্যাথায় কাতর তিনি। তবুও ভোট দিতে বুথে পৌঁছে গিয়েছেন যাবতীয় প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে। সরকারি প্রকল্পের সাহায্য পেলেও তাতে বিশেষ সুরাহা হয় না। কিন্তু ভোট দেওয়াকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করন তিনি। সেই কারণেই সপরিবারে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। সঙ্গে করে এক পড়শিকেও নিয়ে গিয়েছেন ঠেলায় বসিয়ে।

ওই বৃদ্ধ বলেছেন, “আমার পিঠে ব্যাথা রয়েছে। আর আমার স্ত্রীর শরীরও ভালো নেই। তাই ঠেলায় বসিয়ে নিয়ে এসেছি। আমাদের কোনও দাবি নেই।” সেই সঙ্গে তাঁর আরও প্রশ্ন, “সরকারি সাহায্যের ৫০০ বা ১০০০ টাকায় কী সুরাহা হবে?” ওই বৃদ্ধের স্ত্রী বলেছেন, “আমরা নিজেদের ভোট নষ্ট করতে চায়নি। তাই ঠেলা গাড়িতে চড়েই ভোট দিতে এসেছি।”