Money Laundering Case: দেশে-বিদেশে মোট ৮৮১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি

News Desk, New Delhi: দেশের কাছে সন্ত্রাসবাদ (terrorism) এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষ তিন বছরে দেশে সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্যের (financial help) কতগুলি ঘটনা জানা…

State Minister for Home Affairs Nityananda Rai

News Desk, New Delhi: দেশের কাছে সন্ত্রাসবাদ (terrorism) এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষ তিন বছরে দেশে সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্যের (financial help) কতগুলি ঘটনা জানা গিয়েছে? সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্য বন্ধ করার লক্ষ্যে কেন্দ্র কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে? ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (financial action task force) সদস্য পদ পাওয়ার জন্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? আর্থিক তছরুপ দমন (Money Laundering Case) আইন বা পিএমএলএ (pmla act) আইনে সরকার দেশে এবং বিদেশে কতগুলি ক্ষেত্রে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং জরিমানা আদায় করতে পেরেছে? এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা কতগুলি চার্জশিট পেশ করেছে? মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে এই প্রশ্নগুলি জানতে চান তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সাজদা আহমেদ।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের ওই প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমন এবং তাদের আর্থিক যোগান বন্ধের বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রাজ্য পুলিশের আওতায় মধ্যে পড়ে। তবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা যে সমস্ত ঘটনার তদন্ত করছে সেগুলির দেখভাল করে কেন্দ্র। ২০১৮ সালে ১৮ টি, ২০১৯ সালে ১৪ টি, ২০২০ সালে ২৩ টি এবং চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৯ টি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের তদন্ত করছে এনআইএ।

মন্ত্রী এদিন আরও জানান, আর্থিক তছরুপের অভিযোগগুলির তদন্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এই তদন্ত করতে গিয়ে ইডি প্রায় ২৫০ টি ক্ষেত্রে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। যার মূল্য প্রায় ৮৮১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৬৭৭.৭৩ কোটি টাকা দেশে এবং ২০৩.২৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বিদেশে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ২৪ টি ক্ষেত্রে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদত বন্ধ করার উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি নতুন শাখা খুলেছে। জঙ্গিদের অর্থ সাহায্য এবং জাল নোটের কারবার বন্ধ করার জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাও তদন্তের জন্য বিশেষ শাখা তৈরি করেছে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমনের উদ্দেশ্যে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন ১৯৬৭ আরও কড়া করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ভারত ২০১০ সালের ২৫ জুন থেকেই ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের সদস্য। তাই নতুন করে সদস্য পদ নেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।