ভূমি থেকে আকাশ স্বল্প পাল্লার মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল DRDO

News Desk: ভূমি থেকে আকাশে একটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সফল (surface to air missile) উৎক্ষেপণ করল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও (DRDO)। মঙ্গলবার…

DRDO Successful Flight Test of Vertical Launch Short Range Surface to Air Missile

News Desk: ভূমি থেকে আকাশে একটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সফল (surface to air missile) উৎক্ষেপণ করল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও (DRDO)। মঙ্গলবার ওড়িশার চাঁদিপুর (Chandipur coast) উপকূলে দেশীয় প্রযুক্তিতে (Indeginious) তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়।

অত্যন্ত কম উচ্চতায় নির্ভূল একটি বৈদ্যুতিন লক্ষ্যে আঘাত হানে এই মিসাইল। মাটির অত্যন্ত কাছ দিয়ে মিসাইলটি উৎক্ষেপিত হওয়ায় পরিবেশবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সকলেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশ এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি দেখভাল করছিলেন তাঁরা।

এদিন ভূমি থেকে আকাশ স্বল্পপাল্লার এই মিসাইলটির সফল উৎক্ষেপণের পর ডিআরডিওর প্রত্যেক কর্মীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ডিআরডিও ছাড়া ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। রাজনাথ এদিন বলেন, স্বল্প পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ মিসাইলটির উৎক্ষেপণ সফল হওয়ায় দেশের প্রতিরক্ষা শক্তি আরও মজবুত হল। দেশের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীরা আরও একবার তাঁদের প্রতিভার পরিচয় দিলেন। এজন্য তাঁদের কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। এঁদের হাত ধরেই দেশ এগিয়ে যাবে।

DRDO Successful Flight Test of Vertical Launch Short Range Surface to Air Missile

ডিআরডিও-র চেয়ারম্যান ডক্টর সতীশ রেডিও এদিনের সফল উৎক্ষেপণের পর সংস্থার প্রতিটি সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত আরও একধাপ এগিয়ে গেল। উন্নত দেশগুলির সঙ্গে ভারতের আজ আর বিশেষ কোনও পার্থক্য নেই। দেশের নৌবাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র যে এ দেশেই তৈরি করা সম্ভব সেটা প্রমাণ হল।

এদিনের উৎক্ষেপণ পর্ব পর্যবেক্ষণ করতে নৌবাহিনী এবং ডিআরডিও-র শীর্ষ কর্তারা চাঁদিপুরে উপস্থিত ছিলেন। দেশের প্রথম সারির একাধিক প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীও চাঁদিপুরে হাজির হন। এই অত্যাধুনিক স্বল্পপাল্লার মিসাইলটির প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছিল চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি। এই মিসাইলটি চূড়ান্ত কার্যকারিতা পরখ করতে মঙ্গলবার আরও একবার উৎক্ষেপণ করা হয়। বলাই বাহুল্য এদিনের উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে।

কূটনৈতিক মহল মনে করছে, ভারতের এই সাফল্যে চিন ও পাকিস্তানের উদ্বেগ আরও বাড়বে। কারণ সম্প্রতি দক্ষিণ চিন সাগরে আধিপত্য দেখাচ্ছে বেজিং। বিষয়টি ভালো চোখে দেখছে না ভারত। পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশ, লাদাখের মত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাতেও চিন রীতিমতো আগ্রাসন দেখাচ্ছে। এ ধরনের আগ্রাসন রুখতে এই স্বল্প পাল্লার মিসাইলটি বিশেষ কার্যকরী হবে।

কূটনৈতিক মহলের অনুমান, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারত যেভাবে একের পর এক সফল যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করে চলেছে তাতে আগামী দিনে ভারতের আর অন্য কোনও দেশ থেকে যুদ্ধাস্ত্র আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। নিজেদের প্রয়োজনমতো অস্ত্র তারা নিজেদের দেশেই তৈরি করে নেবে। বরং আগামী দিনে আন্তর্জাতিক অস্ত্রবাজারে প্রতিযোগিতায় নামবে ভারত। এই কাজে সাফল্যের জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ অনেকটাই বাড়িয়েছে। বিশেষ করে ভারতে তৈরি কর বা মেক ইন ইন্ডিয়ার মতো কর্মসূচি চালু করেছে সরকার।