অশুভের বিনাশ, জয়ের প্রতীক হিসেবে আজ সারা দেশে পালিত হয় দশেরা উৎসব (Dussehra festival)। পোড়ানো হয় রাবণের কুশপুত্তলিকা। তবে ইউপির মিরাটে, এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে প্রথমে রাবণের প্রতিকৃতিতে মদ পরিবেশন করা হয় এবং তারপরে যেখানে রাবণের কুশপুত্তলিকা স্থাপন করা হয় সেখানেও মদ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পরে কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।
এমন ঘটনা শুনে আপনি হয়তো একটু অবাক হবেন কিন্তু এটাই সত্যি। মিরাটে, শ্রী রাম লীলা কমিটি ক্যান্টনমেন্ট কাউন্সিল ভৈনসালি মাঠে রাম লীলা মঞ্চস্থ করে। প্রায় ৬৪ বছর ধরে রামলীলার এই মঞ্চায়ন হচ্ছে। সেই থেকে দশেরার দিনে যখন রাবণের মূর্তি স্থাপন করা হয়, তখন মদ পান করা হয়। এর পাশাপাশি যেখানে রাবণের কুশপুত্তলিকা রয়েছে সেখানে মদও ঢেলে দেওয়া হয়। এটি এমন একটি কৌশল যা শুনলে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন।
গত ৬৪ বছর ধরে বৃদ্ধদের এই কাজ করতে দেখা যায়। রাবণের প্রতিকৃতির জন্য মদ অর্ডার করা হয় এবং তারপর তা পান করানো হয়। এই বিষয়ে রাম লীলা কমিটির ক্যান্টনমেন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক গণেশ আগরওয়াল বলেন, রাবণের কুশপুত্তলিকায় মদ না দিলে রাবণের কুশপুত্তলি দাঁড়ায় না। দুবার তারা সেই চেষ্টাও করেছিলেন সমস্ত প্রচেষ্টা করা হয়েছিল রাবণের কুশপুত্তলিকা স্থাপনের জন্য আরও লোক মোতায়েন করা হয়েছিল, কিন্তু কুশপুত্তলিকাটি মাঝখানে ভেঙে যায়।
এরপর কমিটির প্রবীণ ব্যক্তি ও এলাকার প্রবীণরা জানান, তাদের মদ খাওয়ানো এবং পরে রাবণের কুশপুত্তলিকা দাঁড় করানো একটি কৌশল। রাবণের মূর্তিকে মদ দেওয়া মাত্রই সহজে উঠে যায়। এরপর থেকে এই রীতির প্রচলন শুরু হয়, এখানে রাবণ, কুম্ভকরণ ও মেঘনাদের কুশপুত্তলিকা স্থাপনের আগে তিনজনকে মদ দেওয়া হয় এবং তারপর তা দাঁড় করানো হয়।
গত ৬৪ বছর ধরে মীরাটের ভৈনসালি ময়দানে মঞ্চস্থ হচ্ছে রামলীলা। এখানে ১৩০ ফুট লম্বা রাবণের মূর্তি, ১২০ ফুট লম্বা কুম্ভকরণের মূর্তি এবং ১১০ ফুট লম্বা মেঘনাদের মূর্তি পোড়ানো হয়।