দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কেঁপে উঠল ঝাড়খণ্ডের চাকরধরপুর। শুক্রবার গভীর রাতে হরিজন বস্তি এলাকার একটি পুজো মণ্ডপের যুবকেরা বিসর্জন সেরে ফেরার সময় আচমকাই হামলার মুখে পড়েন। ১৫ জনের একদল দুষ্কৃতী হঠাৎ মিছিলে ঢুকে নির্বিচারে ছুরি চালাতে শুরু করে। ঘটনায় সাতজন যুবক গুরুতর জখম হন, যাঁদের মধ্যে রিকি মুখী নামের এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশের নাকের ডগায় হামলা
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিসর্জন শোভাযাত্রা চাকরধরপুর থানার একেবারে কাছে পৌঁছনোর সময়েই হামলাকারীরা দলে দলে ঢুকে পড়ে। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছুরির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন একাধিক যুবক। এর পরেই ভিড় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
আহতদের দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় চাকরধরপুর রেলওয়ে হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন সাতজন যুবকের নাম—ধ্রুব মুখী, গোবিন্দ মুখী, দিনেশ মুখী, রিকি মুখী, অতুল মুখী, অমন মুখী ও অজয় মুখী।
রাতভর বিক্ষোভ, চাপে পুলিশ Durga Immersion Knife Attack
ঘটনার পরই এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়ায়। হরিজন বস্তির বাসিন্দারা হাসপাতালের সামনে রাতভর বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি—দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চাকরধরপুর থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “আমরা আহতদের সঙ্গে কথা বলেছি। বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
তদন্ত শুরু
পুলিশ জানিয়েছে, হামলার উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও নেওয়া হচ্ছে।
এই রক্তক্ষয়ী হামলার জেরে উৎসবের আনন্দ মুহূর্তে ভয় ও উত্তেজনায় পরিণত হয়েছে চাকরধরপুরে।