News Desk: বাংলাদেশে দুর্গাপূজার সময় পাঁচ জেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাসস্থান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। বিচারপতি মহ. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহ. কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
গত ২১ অক্টোবর সারা দেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাসস্থান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ দোষী সরকারি কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ চাওয়া হয়।
রিট আবেদনে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে এমন সব ধরনের পোস্ট ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার সাহা ও মিন্টু চন্দ্র দাস এই রিট দায়ের করেন।
দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে কোরান শরিফ রেখে হামলা ছড়ানো হয়েছিল। এর জেরে পাঁচটি জেলায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা হয়। হামলা রুখতে পুলিশ গুলি চালায়। গুলিতে ৫ হামলাকারী মারা গেছে। হামলায় খুন হয়েছেন দুই সংখ্যালঘু।
তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করেছে পূজামণ্ডপে কোরান রেখে হামলা ছড়ানো ব্যক্তি ইকবাল হোসেনকে। আর ভুল ভিডিও দেখিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়ানোর অভিযোগে জেলে পাঠানো হয়েছে ঢাকার বদরুন্নেসা কলেজের অধ্যাপিকা রুমা সরকারকে।
ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দুর্গাপূজায় হামলা পূর্ব পরিকল্পিত। দোষী কেউ ছাড় পাবে না।
হাইকোর্টে রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুর ও ফেনীর জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারসহ ১৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।