অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতির কোপে এবার সরকারও

গত কয়েক মাস ধরে মুদ্রাস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত পড়েছে। এদিকে বাড়তি মুদ্রাস্ফীতি প্রতিটি পরিবারের বাজেটকে নষ্ট করে দিয়েছে। তবে রিপোর্ট বলছে শুধু সাধারণ…

গত কয়েক মাস ধরে মুদ্রাস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত পড়েছে। এদিকে বাড়তি মুদ্রাস্ফীতি প্রতিটি পরিবারের বাজেটকে নষ্ট করে দিয়েছে। তবে রিপোর্ট বলছে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, এই মুদ্রাস্ফীতি সরকারকে সমস্যায় ফেলেছে। এই কারণেই বাজেট যাতে খারাপ না হয়, তার জন্যও সরকারের খরচের উপর কড়া নজর রাখতে হচ্ছে৷

আগামী দিনে সরকারও তাদের বিভিন্ন মন্ত্রক ও দফতরের বাজেট কাটছাঁট করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। অর্থ মন্ত্রক শীঘ্রই সমস্ত মন্ত্রক এবং বিভাগগুলিকে বর্ধিত ব্যয়ের জন্য অতিরিক্ত তহবিল পাওয়ার আশা না করার কথা বলতে পারে। অর্থ মন্ত্রক সব মন্ত্রককে জিজ্ঞাসা করবে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য তাদের জন্য বরাদ্দ বাজেট ছাড়া এই আর্থিক বছরে কোনও টাকাই তাঁদের দেওয়া হবে না।

রাজকোষ ঘাটতির উপর নজর রাখা সরকারের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার। সরকার যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মুদ্রাস্ফীতিতে লাগাম টানতে আরবিআই যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা ধাক্কা খেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, সরকার রাজস্ব ব্যয় কমিয়ে আনতে পারে। তবে পরিকাঠামো মজবুত করতে ২০২২-২৩ সালের বাজেটে বরাদ্দ সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার কোনও অঙ্কই কাটছাঁট করতে যাচ্ছে না সরকার। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি ধরা হয়েছে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বা ১৬ লাখ ৬ হাজার টাকা।